• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর প্রাণহানির অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৪ জুলাই ২০২১, ২০:২৮
সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর প্রাণহানির অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

বার বার ফোন করার পরও সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী পারভীন রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের নম্বরে বারবার ফোন দেয়ার পরেও ফোন ধরেনি কেউ।

যথা সময়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়ায় রোগীকে হাসপাতলে নিতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় পথেই মারা গেলেন পিরোজপুর জেলার এই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১২জুলাই) গভীর রাতে পিরোজপুর পৌর শহরের উকিল পাড়া এলাকায়।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মৃত পারভীন রহমান কে (৫৫) জেলার মঠবাড়িয়ার দেবীপুর গ্রামের সাফা বন্দর নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।

মৃতের আত্মীয় আব্দুল আজিজ খান বলেন, রাত ২টার দিকে পিরোজপুর সদরের সরকারী অ্যাম্বুলেন্সের নাম্বারে বার বার ফোন দিলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ফোন কেটে দেয়। পরে আমরা খাটের তক্তার (চালনি) উপর শুইয়ে হেটে হেটেই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগীতায় হাসপাতালে নিয়ে যাই তাকে। জরুরি সময়ে যদি সরকারি সেবা না পাওয়া যায়, সেই সেবা চালু রেখে কি লাভ।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন প্রাণফোঁটার পরিচালক ম.শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, মৃতের আত্মীয়-স্বজন সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ফোন দিয়ে না পাওয়ার পরে আমাদের সংগঠনের (প্রাণফোঁটা) নাম্বারে ফোন দেয়। আমিও ড্রাইভারের নাম্বারে ফোন দেই। কিন্তু তিনি ফোন কেটে দেন।

আমরা পরবর্তীতে স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে তক্তার উপর করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরিফ হাসান জানান, রোগী হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জেনে তিনি ধারনা করছেন, রোগীর করোনা ছিলো না তিনি ষ্ট্রোক অথবা হার্ট এ্যাটাকে মারা যেতে পারেন। তবে তিনি অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি।

এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোতালেব হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, আমার কাছে এরকম কোন ফোন আসে নাই। প্রয়োজনে আমার মোবাইল চেক করে দেখতে পারেন। আমি এর আগের দিন রাতে ডা. বিডি হালদারের মা করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাকে নিয়ে খুলনা গিয়েছিলাম। সেদিন রাতে এমন একটা ফোন এসেছিল। আমি বলেছিলাম আমি রোগী নিয়ে খুলনায় আছি। আপনারা অন্যভাবে ব্যবস্থা করেন।

পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন হাসনাত ইউসুফ জাকি জানিয়েছেন, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে দুইজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার দুইজনই হত্যা মামলার আসামি। এদের মধ্যে কবির হোসেন পলাতক রয়েছে। মোতালেব জামিনে রয়েছেন। গতকাল মোতালেব করোনার রোগী নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই হয়তো তিনি ফোন রিসিভ করতে পারেননি। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। সচিব মহোদয় আমাদের একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার দেয়ার কথা বলেছেন। নতুন ড্রাইভার পেলে ড্রাইভার সংকট অনেকাংশে কমে যাবে।

এসএফ/এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অ্যাম্বুলেন্সে এসে ভোট দিলেন বৃদ্ধ
বাসের ধাক্কায় ফেরিতে থাকা ৪ মোটরসাইকেল নদীতে
অটোরিকশা-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষ, নিহত ২
বাথরুমে মিলল ছাত্রলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ 
X
Fresh