• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গৃহবধূ ও প্রেমিককে ঘরের ভেতর বন্দি করে তালা  

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২০ জুন ২০২১, ২৩:২৭
গৃহবধূ ও প্রেমিককে ঘরের ভেতর বন্দি করে তালা  
প্রতীকী ছবি

পরিবারকে সুখ-শান্তির জন্য স্বামী ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শ্রমিকের কাজ করে ঘাম ঝরাচ্ছেন আর বউ অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেম করছে। হঠাৎ করে ওই প্রেমিকের সঙ্গে ধরা খেয়েছে গ্রামবাসীর হাতে। এ সময় দিনভর ওই প্রেমিক যুগলকে একটি ঘরের ভেতর বন্দি করে রাখা হয়।

রোববার (২০ জুন) ভোরে ঢাকার ধামরাইয়ে বালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।

গ্রামবাসী জানান, প্রায় ৫ বছর আগে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে পাশের চৌহাট ইউনিয়নের মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছরের মধ্যেই তাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।

স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে স্বামী বিমানবন্দরে কার্গো বিমানের শ্রমিকের চাকরি নেয় বছর খানেক ধরে। চাকরি নিতে ঘুষের সাড়ে ৫ লাখ টাকা অবশ্য স্ত্রীর বাবা দিয়েছিলেন। এদিকে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে স্ত্রী বাবার বাড়ি এলাকার মো. আব্দুর রউফ মুন্সির ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমের (২৬) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায়।

স্বামীর অবর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতোই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় ও একই ঘরে রাত কাটায়। বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ পিতা-মাতা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পুত্রবধূকে শাসন-বারণ করলেও সে তাদের শাসন-বারণের কোনো তোয়াক্কা করে না।

বিষয়টি টের পেয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে একসঙ্গে ধরার জন্য পাহারার ব্যবস্থা করে এলকাবাসী। পরে রোববার (২০ জুন) ভোর ৪টার দিকে ঘরের ভেতর পুরুষ মানুষের কণ্ঠ শুনতে পেয়ে ঘরের চারপাশে লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। এরপর কয়েকজন ঘরের ভেতরে ঢুকে ওই প্রেমিক যুগলকে অপকর্মে লিপ্ত অবস্থায় আটক করে।

ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই গৃহবধূর স্বামী ও বাবাকে খবর দেয়া হলে দুপুর ১২টার দিকে ওই গৃহবধূর পিতা মো. আব্দুল আছের মিয়া এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। তবে গৃহবধূর স্বামী না আসায় ওই প্রেমিক যুগলকে দিনভর ওই রুমের মধ্যে আটক করে রাখা হয়।

এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর শ্বশুর মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর পুত্রবধূকে বহু শাসন ও বাধা নিষেধ করেছি। কিন্তু সে আমার কোনো কথাই কানে নেয়নি। শুনলে আজ এ পরিণতি দেখতে হতো না। শুধু শিশু বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে বিষয়টি আমার ছেলেকে কখনো বলিনি।

প্রেমিক জাহাঙ্গীর জানান, সে আমাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। আমিও তেমনি ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। বেঁচে থাকলে ওকে নিয়েই বেঁচে থাকব। আর মরলেও দু’জন একসঙ্গে মরব।

ওই গৃহবধূ বলেন, টাকায় কখনও সুখ-শান্তি আসে না। আমার স্বামী তা কোনোদিন বুঝার চেষ্টা করেনি। আমি পূর্ণ যৌবনা এক নারী। আমার স্বামী তো তা বোঝেনি। জাহাঙ্গীর আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। বিধায় আমি জাহাঙ্গীরকে ভালোবেসে ওর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হই।

ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবুল হাসেম বকুল বলেন, এ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। গৃহবধূর স্বামী না আসার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh