• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১৮ মণের ‘নবাবের’ দাম ৯ লাখ টাকা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৪ জুন ২০২১, ১৮:১৫

৮ ফুট দৈর্ঘ্য, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ওজন ৭২০ কেজি বা ১৮ মণ। হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান ক্রোস জাতের ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ৯ লাখ টাকা।

ষাঁড়ের মালিক শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কোব্বাস মাদবরের কান্দি গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী গৃহিণী হাবিবুন্নেছা (২৪)। তিনি কুরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। গরুটি দেখতে লোকজন প্রতিদিন ভিড় জমছে তার বাড়িতে।

আরও পড়ুন...পরীমণি মদের জন্য উত্তেজিত হয়ে গ্লাস ছুড়ে মারেন: নাসির

২০১৭ সালে ৫০ হাজার টাকায় একটি গাভী কিনে পালন শুরু করেন হাবিবুন্নেছার বাবা নুর মোহাম্মদ ঢালী। হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান ক্রোস জাতের ষাঁড়টির সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ২০১৮ সালেই এই ষাঁড়ের জন্ম দেয়। জন্মের পর বাছুরটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে নুর মোহাম্মদ ঢালীর কাছ থেকে বাছুরটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনে আনেন তার মেয়ে হাবিবুন্নেছা। প্রয়োজন মতো খাবার ও পরিচর্যায় গরুর আকৃতি বাড়তে থাকে। দিনে দিনে গরুটির ওজন বেড়ে ৭২০ কেজিতে এসে দাঁড়ায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে গরুটির ওজন নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বছর গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হাবিবুন্নেছার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসমাইল মাদবর (৩৩) বলেন, ষাঁড়টির খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া ও ছোলা। সব মিলে দিনে ২০-২৫ কেজি খাবার খায় গরুটি। খাবার কম খেলেও দিনে দিনে তার খাবারের চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যায়।

ইসমাইল মাদবর বলেন, এ ধরনের গরু লালন-পালন খুবই কষ্টকর। আমি মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী হাবিবুন্নেছা নবাবকে লালন-পালন করেছেন। আমি গত মে মাসের ১৯ তারিখে বাংলাদেশে আসি। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন নিয়ে নবাবকে বড় করেছে। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।
৯ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গরুটি তিনি কোনও হাটে না নিয়ে বাড়িতে খামারে রেখে অনলাইনে ছবি ও বিবরণ দিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রেতারা গরুটির দাম বলছেন অনেক কম।

জপসা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নুরজামাল মাদবর বলেন, গৃহবধূ হাবিবুন্নেছা নবাবকে লালন-পালন করে বড় করেছে। এই কুরবানিতে গরুটা বিক্রি করবে। গরুটার দাম ধরা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। তবে এখনই পাইকাররা দাম বলছে ৪ লাখ টাকা।

নড়িয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, খামারি হাবিবুন্নেছা কুরবানির পশুর হাটে বিক্রি করার জন্য আড়াই বছর শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে তার খামারে হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান ক্রোস জাতের ১৮ মণ ওজনের একটি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। তার জানামতে, শরীয়তপুর জেলার কোথাও এত বড় ষাঁড় নেই।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দায়িত্বরত অবস্থায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নবাবগঞ্জে মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
তাপদাহে বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুন
X
Fresh