লাল বেনারসির বদলে সাদা কাফনে মোড়ানো হলো কিশোরীকে
‘বিবাহ হচ্ছে ভাগ্য পরীক্ষা’ স্যামুয়েল স্মাইলস-এর উক্তিটির মুখোমুখি হতে হয়নি হবিগঞ্জের মাধবপুরের সুইটি আক্তার নামে এক তরুণীকে। বিবাহ নামক ওই ভাগ্য পরীক্ষার আগেই গায়ে হলুদের দিন জ্বর, ঠান্ডা ও গলা ব্যথা নিয়ে পরপারে চলে যেত হলো তাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
সুইটি মাধবপুর উপজেলার বাড়চান্দুরা গ্রামের মোঃ রশিদ মিয়ার মেয়ে এবং মাধবপুর দরগাবাড়ি আলিয়া মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
এদিকে, গায়ে হলুদের দিন সুইটির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না স্বজনসহ এলাকাবাসী। জানা যায়, সুইটি আক্তার বেশ কিছুদিন যাবত জ্বর ঠান্ডা ও গলা ব্যথায় ভুগছিল। এর মধ্যে তার বিয়ে ঠিক করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামের মোঃ শহীদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে। আজ (১১ জুন শুক্রবার) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার ছিল তার গায়ে হলুদ। গায়ে হলুদের আগের দিন সে অসুস্থতাবোধ করলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মা-মনি ক্লিনিকে। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় তিতাস হসপিটালে। সেখা তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে। এক পর্যায়ে তাকে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন সেখানকার চিকিৎসকরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে সরাইল এলাকায় যাওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। পরে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাদ আছর মরহুমার জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, সুইটির বিয়ে উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। গেটসহ বিয়ে বাড়িতে করা হয়েছিল আলোকসজ্জা। কিন্তু সেই আলোকসজ্জা এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে। যেই গেইট দিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়া কথা ছিল সেই গেইট দিয়ে তার লাশ বের হয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় স্বজনসহ পুরো এলাকায় নেমে এসছে শোকের ছায়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। মেয়েটি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিল।
পি
মন্তব্য করুন