শ্রমিকলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কর্তন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আটক
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক সরদার সোয়েব (৪২) এর ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় ১২ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন কে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় আত্রাই উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমকে হুকুমের (তার নির্দেশ) ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সোমবার সকালে (১৭ মে) আহতের স্ত্রী সাবরিনা সুলতানা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার পরিকল্পনাকারী হিসাবে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমকে সকাল ১১ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে আত্রাই থানা পুলিশ।
এর আগে রোববার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার নিউমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সরদার সোয়েব এর অফিসে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের ছেলে ক্যাডার বাহিনী মির্জা রাব্বীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার ভোরে রাজশাহী থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পপুলার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সরদার সোয়েব অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ঠিকাদারি ৬৫ লাখ এবং ধারকৃত ২ লাখ টাকাসহ মোট ৬৭ লাখ টাকা সোয়েবের নিকট থেকে পাবেন তারা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার ছেলে রাব্বী মির্জা বহুবার অনুরোধ এবং দেনদরবার করেও টাকা দেয়নি। সরদার সোয়েব এর সঙ্গে তাদের ব্যবসা নিয়ে আর্থিক লেনদেন ছিল এ হামলার কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এরসূত্র ধরেই তার ওপর হামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মমতাজ বেগমকে থানায় নেয়া হয়। আহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মমতাজ বেগমসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর সোমবার দুপুরে তাকে নওগাঁ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বাকী আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এমআই
- আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...
মন্তব্য করুন