বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে ঘুমিয়ে থাকা বৃদ্ধকে খুন করল মা-ছেলে
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় আহাদ আলীকে খুন করেছে স্ত্রী জেসমিন ও একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন (১৯)। এদিকে ছেলে ও স্ত্রীকে আটকের পর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এসব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে আহাদ আলীর (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একই দিন রাতে এ ঘটনায় নিহতের ভাই বড় ভাই আবেদ আলী হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত আহাদ আলী ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি একসময় ট্রাক চালাতেন। পরে কৃষিকাজে যোগ দেন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলে মেয়েরা যে ঘরে থাকে, তার পাশের ঘরে বুধবার (১৩ মে) রাতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন আহাদ আলী। ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে ছেলেমেয়েরা ডাক দেয়। সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা দেখে, আহাদ আলীর বুকে ছুরি মারা এবং শরীর রক্তাক্ত। বাবার মরদেহ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের সন্দেহ হয় এ হত্যাকাণ্ডে পরিবারের লোকজন জড়িত। এ সন্দেহ থেকেই পুলিশ আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার আর একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ছেলে সোহান স্বীকার করে, তার বাবাকে খুন করেছে। খুনের বর্ণনায় ছেলে জানায়, বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে বাবাকে খোঁচা দিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় ব্যাপক রক্তক্ষরণে আহাদ আলী মৃত্যু হয়।
পরে সোহানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বাড়ি থেকে তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা ছুরি ও খুনে ব্যবহৃত বাঁশের লগি উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় নিহতের ভাই বড় ভাই আবেদ আলী হত্যা মামলা করেন। পারিবারিক কলেহের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জিএম
মন্তব্য করুন