• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মডেল রাউধার লাশ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, রাজশাহী

  ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:২৫

প্রখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা মডেল, মালদ্বীপের মেয়ে ও রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রী রাউধা আথিফের মরদেহ উত্তোলন করে পুন:ময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-১ এর বিচারক মাহাবুর রহমান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেয়া হয়। এ জন্য দরকারি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে রাউধা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হক রাউধার মরদেহ উত্তোলন করে পুন:ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সে আবেদনের শুনানি হয়।

২৯ মার্চ রাজশাহী নগরের নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আথিফের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাউধা ওই কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেদিন কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়, রাউধা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় সেদিনই কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে নগরীর শাহ মখদুম থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে।

৩০ মার্চ তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাউধার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ১ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রাজশাহীর হেতেমখাঁ গোরস্তানে রাউধাকে দাফন করা হয়। সে সময় রাউধা আত্মহত্যা করেছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেয়া হয়।

এরপর মালদ্বীপের দু’পুলিশ কর্মকর্তা রাজশাহীতে এসে রাউধার মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করেন।
গেলো ১০ এপ্রিল রাউধার চিকিৎসক বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রাওধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়েছিল। মামলায় রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহমুদকে একমাত্র আসামি করা হয়। সিরাতের বাড়ি ভারতের কাশ্মিরে।

১৩ এপ্রিল রাওধার হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটি হস্তান্তরের পর ১৫ এপ্রিল থেকে সিআইডি পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh