নির্জন বাগানে অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণের শিকার যাত্রী!
হবিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নারীকে গণধর্ষণ করেছে তিন যুবক। এ ঘটনায় দুই যুবককে ধরে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে সন্ধ্যায় আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তারা।
আটককৃতরা হলেন, জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ঝিকুয়া গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া ও কাছম আলীর ছেলে সায়মন আহমেদ শামীম।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেট থেকে নতুন সেতু এলাকায় এসে নামেন ২৫ বছরের এক নারী। তিনি নিজ বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় অটোচালকসহ দুই যুবক তাকে ফুসলিয়ে হবিগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের গতিবিধি বুঝতে পেরে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ সময় রাত ৮টা বাজে। অন্যদিকে ওই নারীকে অনুসরণ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি। কলিমনগর এলাকায় পৌঁছালে তাকে বহনকারী অটোরিকশাটির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়।
এই সুযোগে ভুক্তভোগী ওই নারীকে কৌশলে নিজের গাড়িতে তোলেন সিএনজিচালিত অটোচালক জনি মিয়া। তার অটোতে আরও ছিলেন শামীম ও সুজন। এর পরে দ্রুত অটো চালিয়ে ধুলিয়াখাল-মিরপুর সড়কে ঢুকে লস্করপুর ইউনিয়ন অফিসের পাশে নির্জন বাগানে নিয়ে যান। সেখানে অটোরিকশায় ওই নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণ করে। এসময় তারা ভুক্তভোগী ওই নারীকে নিয়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে চরহামুয়া পয়েন্টে এলে দোকানপাট খোলা দেখে চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে এলাকাসাী ঘেরাও করে অটোসহ সুজন ও শামীম নামে দুই জনকে আটক করে। তবে অটোচালক জনি মিয়া সেখান থেকে পালিয়ে যান।
-
আরও পড়ুন... করোনায় যে কারণে দেহব্যবসায় ঝুঁকছেন শিক্ষার্থীরা
এলাকাবাসীর সংবাদ পেয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলার পর সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুজন ও শামীমকে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জিএম
মন্তব্য করুন