ভালোবাসার দুই বিয়ে, আধাঘণ্টা পরই বধূর ঝুলন্ত মরদেহ
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় বিয়ের ৩০ মিনিট পরই মেঘনা খাতুন (১৬) নামে এক কিশোরী বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে কিশোরী পরিবার।
রোববার (১১ এপ্রিল) মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে কিশোরীর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
-
আরও পড়ুন... বুধবার থেকে আসতে পারে সাধারণ ছুটির ঘোষণা
স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুর উপজেলার দায়েরপোল গ্রামের ফজলু শেখের কলেজপড়ুয়া মেয়ে মেঘনার সাথে প্রতিবেশী চঞ্চল শিকদারের ছেলে ইয়াসির আরাফাত সাব্বিরের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উভয় পরিবারের সম্মতি না থাকায় তারা গত ৭ এপ্রিল নিজেদের ইচ্ছায় মাগুরায় নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে।
এই বিয়েতে দেনমোহর মাত্র ২০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। যে বিষয়টি মেয়েটির পরিবার মেনে নিতে পারেনি। অন্যদিকে ছেলেটির পরিবারও তাদের ধার্যকৃত দেনমোহরের বিষয়ে অনড় থাকে। পরে এই বিষয়ে মেঘলার পরিবার স্থানীয় সামাজিক মাতবরদের কাছে অভিযোগ দিলে তারা উদ্যোগী হয়ে ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করেন। সেই অনুযায়ী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার শরিফুল ইসলামের মধ্যস্থতায় শনিবার (১০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ছেলে সাব্বিরের বাড়িতে নতুন করে আবারও বিয়ের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় হুজুরের মাধ্যমে কাবিন-কলমা শেষে প্রতিবেশীরা বিদায় নিলে রাত ১১টার দিকে মেঘনা ফাঁস নিয়েছেন বলে প্রচার করা হয়। এ ঘটনার পর সাব্বিরদের ঘরের পেছনে একটি আমগাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলে প্রতিবেশীরা জানান।
অন্যদিকে সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ মেয়েটির স্বামী ইয়াসির আরাফাত সাব্বির এবং তার বাবা-মাকে আটক করেছে।
এই ঘটনার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি সুকদেব রায় বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটিকে পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
জিএম
মন্তব্য করুন