গৃহবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মারধর, গর্ভেই মারা গেল সন্তান
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ৮ মাসের সন্তান গর্ভেই মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল রাতে) শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূ এক মৃত সন্তান প্রসব করে। ধর্ষণচেষ্টা ও সন্তান হত্যার ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।
এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকায় ওই গৃহবধূ সকালে হাঁটতে গেলে প্রতিবেশী ইউনুছ রাড়ি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় ওই গৃহবধূ বাঁচার জন্য ইউনুছের হাতে কামড় দিয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে এ ঘটনায় ইউনুছের বাড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ওই গৃহবধূকে বেদম মারধর করেন। তখন গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্র গেছে, সম্প্রতি ওই গৃহবধূর পরিবারের সাথে ধর্ষণ চেষ্টাকারী ইউনুছ রাড়ির পরিবারের ঝগড়া হয়। সেই কারণেই ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ-চেষ্টা চালাতে পারে ইউনুস। ইউনুছের কঠোর শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকালে নামাজ পড়ে হাঁটতে যাওয়ার পর ইউনুছ আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। বাঁচার জন্য তার হাতে কামড় দিয়ে চিৎকার করি। চিৎকারে করলে ইউনুছের বাড়ির সদস্যরা এসে উল্টো আমাকেই মারধর করে।
সদর হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হোসনে আরা রোজি জানান, ওই গৃহবধূকে যেদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়। পরীক্ষায় দেখা যায় ওই গৃহবধূর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। পরে বুধবার রাতে ওই গৃহবধূ মৃত বাচ্চা প্রসব করেন।
এই বিষয়ে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীণ চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূর স্বামী। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জিএম
মন্তব্য করুন