• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাম্পার ফলন হলেও করোনার প্রভাব তরমুজের বাজারে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১৫:১৯

দক্ষিণ উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীসহ চরাঞ্চলের প্রায় ১৪ হাজার ১৩০ হেক্টর দোয়াশ মাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছিলো। দেশের বিভিন্ন মোকাম ও বাজারে তরমুজ সরবরাহ করে কৃষক ন্যায্য মূল্য পাচ্ছিলেন ঠিক তখনই করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে।

দেশ ব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা আসে সরকারের পক্ষ থেকে। এতে কাঁচা পণ্য পরিবহনের বাধা নিষেধ না থাকলেও, দেশের সকল হাট-বাজারে ভোক্তাদের উপস্থিতি এবং চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। দরপতনের কারণে চাষি ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী, ধানখালী, চম্পাপুর, ধুলাসারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিদের ক্ষেতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে সড়ক ও নৌ পথে কলাপাড়া থেকে দেশের বিভিন্ন মোকাম ও স্থানীয় হাট বাজারে তরমুজ দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে বলে লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান।

কলাপাড়া পৌরশহরের তরমুজ বিক্রেতা মো. ইউনুস মৃধা জানান, কলকডাউনের ঘোষণায় হাট-বাজারে লোক সমাগম হ্রাস পাওয়ায় বেচা বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে বর্তমানে এক একটি তরমুজ ৫০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হাটে আসা গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের নুর জামাল মাতব্বর বলেন, এবছর ‘আড়াই একর জমিতে তরমুজ চাষ করি। এতে প্রায় দেড় লাখ খরচ হয়েছে। এবছর ফলন ও দাম দুইডাই ভালো পেয়েছে। তবে এখন লকডাউনের কারণে বাজার মন্দা যাচ্ছে।

এ বিষয় গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, এ বছর গলাচিপা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক তরমুজ চাষ করেছে। শেষ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলে ৩০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষিবিদ আবদুল মান্নান বলেন, কৃষকদের পণ্য বাজারজাত করার পথ সুগম করা এবং অবাদ বাজারজাত করনের সামগ্রিক বিষয় আমরা মনিটরিং করছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহনে কোনো বাধার সম্মুখীন হবে না কৃষক সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। তবে বাজারে জন সমাগম কমে যাওয়ায় বেচা বিক্রি হ্রাস পাওয়ায় তরমুজের বাজার মন্দাভাব বিরাজ করতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের কৃষি কাজের জন্য নানা প্রণোদনা দিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কৃষকের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অবহিত করা হবে।

এসকে/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে দই খাবেন নাকি তরমুজ
তরমুজের সঙ্গে বা পরে খাবেন না যেসব খাবার
গরম বাড়তেই ঈদের পর ফের বেড়েছে তরমুজের দাম 
রাজধানীতে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম
X
Fresh