• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

২০ লাখ টাকা না দিলে ফারুককে খুন করার হুমকি রোহিঙ্গাদের 

টেকনাফ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৩ এপ্রিল ২০২১, ২০:৩৪
Rohingyas threatened to kill Farooq if he did not pay 20 lakh rupees
২০ লাখ টাকা না দিলে ফারুকে খুন করার হুমকি রোহিঙ্গাদের 

টেকনাফের এক যুবক প্রায় একমাস ধরে রোহিঙ্গাদের বন্দিশালায় আটক রয়েছে। ২০ লাখ টাকা দেয়া না হলে ওই যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যাবে কিনাও সন্দেহ রয়েছে বলে অভিযোগ অপহৃতের পরিবারের।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) অপহৃত ফারুকের একটি মর্মান্তিক রক্তাক্ত ছবি রোহিঙ্গাদের বন্দিশালা থেকে অনলাইন ইমু’র মাধ্যমে পরিবারের কাছে প্রেরণ করে। ছবিটি দেখে পরিবারের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

অপহৃত যুবকের নাম মো. ফারুক (১৮)। তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে।

থানায় অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ মার্চ বিকেল ৩টায় দুই আত্মীয় কাজের কথা বলে বালুখালি ক্যাম্পে নিয় যান। পরে রহস্যজনক কারণে ফারুক না ফিরলেও তার আত্মীয়রা ফিরে আসেন। তাদের সঙ্গে ও সম্ভাব্য জায়গায় যোগাযোগ করে ফারুকের কোনো হদিস পাইনি পরিবার।

কিছুদিন পরে রাতে ফারুক রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন (০১৫৭১১৫৪৩০৯) থেকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। তার একটি চাওয়া রোহিঙ্গাদের মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা দিয়ে বাঁচার আকুতি। এ মুঠোফোন থেকে বার বার রোহিঙ্গারা ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। এ টাকা দেয়া না হলে ফারুকের মৃতদেহ পাওয়া যাবে না বলেও হুমকি দেন রোহিঙ্গা অপহরণকারীরা। জীবন বাঁচাতে অসহায় ফারুকের পরিবার বাড়িসহ সবকিছু বিক্রি করে ২ লাখ টাকা দিলেও মুক্তি দেয়নি রোহিঙ্গারা। গত কয়েকদিন ধরে ওই মুঠোফোন নম্বরসহ ০১৮৬২৬৮৮১০০ ও ০১৮৩১১৫৯২১২ মুঠোফোন থেকে একাধিকবার ফোন করে সর্বশেষ ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা।

অপহৃত ফারুকের বড় ভাই জাকারিয়া জানান, স্থানীয় দুই আত্মীয়ের সহযোগিতায় বালুখালী সম্ভাব্য তের নম্বর শিবিরের রোহিঙ্গা নাগরিক কামাল হোসেন, আনু মোস্তফা সহ অন্যান্যরা মিলে ছোট ভাই মো. ফারুককে অপহরণ করে তাদের বন্দিশালায় প্রায় একমাস ধরে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে আসছে। পরিবারের যা সম্বল ছিল তা বিক্রি করে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা মুক্তির জন্য দেয়া হয়। তার পরেও রোহিঙ্গারা ২০ লাখ টাকা দাবি করছে। গতকাল শুক্রবার একটি রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থার ছবি পাঠিয়েছে অপহরণকারীরা।

ছবিটি দেখিয়ে তিনি আরও জানান, টাকা না দিলে এই ভাবে ফারুককে মারা হবে বলে হুমকি দেন রোহিঙ্গরা। এ ব্যাপারে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এই ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ থানার অধীনে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই নূরে আলম জানান, বিষয়টি ইয়াবা সংক্রান্ত। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। যেহেতু ঘটনাস্থল উখিয়া থানার আওতায় হওয়ায় উখিয়া থানায়ও একটি অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বরিশালের জন্য নগদের ২০ লাখ টাকার পুরস্কার
X
Fresh