• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

উদ্ধার ফিলিপাইনের দুই নারীকে ঢাকাস্থ দূতাবাসে হস্তান্তর

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, চট্টগ্রাম

  ০৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:০৫

চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার হওয়া দুই ফিলিপাইনের নাগরিককে আদালতের নির্দেশে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার পুলিশ তাদের পৌঁছে দেয়।

জানা গেছে, ওই দুই নারী দুবাই প্রবাসী তফাজ্জল করিমের স্ত্রী। গেল বৃহস্পতিবার নগরীর নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়িটি তফাজ্জল করিমের মালিকানাধীন। সে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাতে (দুবাই) আছেন।

ফিলিপাইনের দুই নারী হলেন, অ্যামিলি সি গ্রুস (৪০) এবং ম্যারি ডি লিয়ন (২৭)। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে আরো আছে অ্যামিলির ছেলে আশরাফ করিম (৮) ও ইয়াকুব করিম (২১ মাস) এবং ম্যারির ছেলে জায়াফ করিম (২ মাস)।

তিন সস্তানের মধ্যে আশরাফ এবং ইয়াকুব বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ। জায়াফের জন্মও বাংলাদেশে বলে জানিয়েছেন ওসি।

পাচঁলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, দুবাই প্রবাসী তফাজ্জলের বাড়ি রাউজান। ১১ বছর আগে দুবাইয়ে অ্যামিলিকে বিয়ে করেন তফাজ্জল। এরপর তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। প্রথম স্ত্রীকে দেশে রেখে আবারো দুবাইয়ে ফিরে যান। ৩ বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিয়ে করেন ম্যারিকে। এরপর তাকেও বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।

‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানাজানির পর দুই স্ত্রীই তফাজ্জলের ওপর ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে তারা সস্তান নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাবার আগ্রহ দেখান। কিন্তু তফাজ্জল তাদের নিজ বাসায় মা-বোনসহ স্বজনদের হেফাজতে রেখে আবারো দুবাইয়ে চলে গেছেন।’

ওসি আরো বলেন, দুই স্ত্রী কার্যত তফাজ্জলের বাসায় বন্দি অবস্থায় ছিলেন। তাদের বাইরে বেরুতে দেয়া হত না। বিষয়টি ফিলিপাইন দূতাবাস অবহিত হবার পর সিএমপি কমিশনারকে একটি চিঠি দিয়ে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ করা হয়। কমিশনার স্যারের নির্দেশে আমরা তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠিয়েছি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, গেলো বুহস্পতিবার ফিলিপাইনের দুই নারী এবং তাদের সন্তানদের মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজের আদালতে হাজির করা হয়।

ফিলিপাইন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের দায়িত্ব নিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আবেদন করা হয়েছিল। আদালত দূতাবাসের আবেদন গ্রহণ করে তাদের নিজ জিম্মায় থাকার আদেশ দেন। উদ্ধার হওয়া ওই দুই নারী প্রশাসনকে নিজ দেশে ফেরত যেতে চাইলে তাদের সেখানে প্রেরণ করেন। এছাড়া সন্তানরা দুই নারীর জিম্মায় থাকবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh