পর্যটকদের নজর কাড়বে নওগাঁর ‘অগ্রপর বিহার’

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত প্রান্তিক পর্যায়ের একটি ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত আগ্রাদ্বিগুণ। ওই ইউনিয়নের কোল ঘেঁষা বাজারের পাশে অবস্থিত হাজার বছরের পুরোনো ৪ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে পাহারের মতো বিরাট ঢিবি যা ‘অগ্রপর বিহার’ নামে খাতা কলমে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত।

নওগাঁ জেলায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে অগ্রপর বিহার ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে তালিকাভুক্ত একটি স্থাপনা। কয়েক বছর আগে ওই স্থাপনার খনন কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণবশত তা ভেস্তে যায়। নতুন বছরে ফের শুরু হয়েছে খনন কাজ। ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল হিসেবে ওই এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে। সূচনা হতে পারে এক নতুন ইতিহাসের এবং খনন থেকে পাওয়া যাবে মূল্যবান প্রত্নসম্পদ, এমনটা ধারণা করছেন খনন কাজের সাথে জড়িতরা।

জানা গেছে, প্রাচীনকালে আগ্রা ও দ্বিগুণ নামের দুটি গ্রাম ছিল। পরে ওই দুটি গ্রাম একত্র হয়ে আগ্রাদ্বিগুণ নামে মিলিত হয়ে যায়। কথিত আছে দ্বারকানাথ ঠাকুর নামে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের আমলে নির্মিত হয়েছিল ওই অগ্রপর বিহার। আর ওই বিহারের পাশে ছিল বিশাল আকারে নানান নামের দিঘী। এখনও রয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে দিঘীর আকৃতি ছোট হয়ে গেছে। আর ওই স্তুপের আশে পাশে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরোনো আমলের পাথর ও শিলা। এসব দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হাজার বছরের এটি কোনও একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিল।

প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের অধীনে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুরু হয়েছিল খনন কাজ। পরে পুনরায় নতুন বছরের ২৬ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে খনন কাজ। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন মাস চলবে এই খনন কাজ। দীর্ঘদিন পর খনন কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার ওই ঐতিহাসিক বিহারটি নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের, এমনটা ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
পি