হামলায় আহত ইমামের মৃত্যু
নড়াইলের কালিয়া দু’পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে অস্ত্রের আঘাতে আহত ইমাম আল-আমিন শেখ (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
চার দিন চিকিৎসার পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত আল-আমিন কালিয়া উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের মৃত আবুল শেখের ছেলে।
তিনি মহিষখোলা গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মহিষখোলা গ্রামের দুটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন পাঁচগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জহুরুল হক ও বাদশা মোল্যা।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মহিষখোল গ্রামের মাহাবুর শেখ ও রিজাউল ম্যোলার বাড়ির সিমানা নির্ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় স্থানীয় মসজিদের ইমাম আল আমিন (রিজাউল ম্যোলার শ্যালক) ঠেকাতে গেলে মর মাহাবুর শেখের লোকজন তার ওপর হামলা করে। আহত আল-আমিনকে প্রথমে খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই সংঘর্ষের বাদশা মোল্যার পক্ষের ৫ জন হাসান মোল্যা (২০), হোসেন মোল্যা (২০), সুফিয়ান মোল্লা (২৫), জিহাদ ম্যোলা (২৩) ও তহিদ শেখ (৫৫) এবং জহুরুল হকের পক্ষের হাফিজুর মোল্লা (৫৫) ও শিহাব মোল্লা (৩০) আহত হয়।
আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে ও খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জেবি
মন্তব্য করুন