ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক খুন
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সাদেক মিয়া নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক খুন হয়েছেন।
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কুড়িয়াভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি তিনগাঁও এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা আরটিভি নিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা যাত্রীবেশে অটোরিকশায় উঠে নির্জন স্থানে এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন
রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হয়।
এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
‘সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা হইত না’
ভর্তি পরীক্ষায় প্রত্যাশামতো কোথাও ভর্তির সুযোগ না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পিউ কর্মকার (১৮) নামের এক তরুণী।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় পিউ কর্মকারের বাড়ি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পিউ ছিলেন মেজ। তিনি রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশামতো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। রাত সোয়া আটটার দিকে সোনাকান্দর ঘাট এলাকা থেকে পিউকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে পিউ কর্মকার লিখেছেন, গুচ্ছ আমার শেষ ভরসা ছিল। জানিনা কবে রেজাল্ট দিবে। পরীক্ষাও মোটামুটি হয়েছিল একটা আশা ছিল কিন্তু আমার ভাগ্য সেই আশাটাও পূরণ করতে দিল না। ৫টা অপশন থাকে তার মধ্যে আমি বায়োলজি আর ইংরেজি এর বৃত্ত ভরাট করে ফেলেছিলাম ভুল করে আজকে সেটা দেখলাম। কিন্তু আমি উত্তর করেছিলাম বাংলার। আমার সব স্বপ্ন শেষ। একে একে ঢাবি, রাবি, জাবি থেকে একটু একটুর জন্য ধাক্কা খাই। জানি এটাও আমার ভাগ্যের জন্য চেষ্টা আমার কম ছিল না। সারাদিন রাত এক করে পড়তাম। বাবা মার অনেক স্বপ্ন ছিল আমাকে নিয়ে কিন্তু আমি কিচ্ছু দিতে পারি নাই। দাদার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আমারও স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই যে ডাক্তার হবো। আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিল মেডিকেল এডমিশন এর প্রিপারেশন নেওয়াও শুরু করি কিন্তু মেডিকেলেও বসতে পারি না। এটা থেকেও বিশাল একটা ধাক্কা খাই। অনেক ভেঙে পড়েছিলাম তাও হাল ছাড়ি নাই। এই এডমিশন পিরিয়ডটা যে কতটা কষ্ট দিছে আমাকে।
তিনি আরও লিখেন, এই সব আর আমি নিতে পারতেছি না। আমি শুধু একটা আশ্রয় খুজতেছিলাম শেষ আশ্রয় এটাও শেষ হইল। অনেক মানুষ অনেক আত্মীয় এর অনেক কথা শোনা লাগছে। বাবার একটু ফিনানসিয়াল সমস্যা ছিল এ জন্য ঢাকা গিয়ে পড়তে হবে কেন। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম যে পারব। কিন্তু আমি আর পারলাম না। সারাটা দিন ঘরের মধ্যে একা একা বসে থাকি। মানুষের কতো ফ্রেন্ড কত কিছু কিন্তু আমি আমার পাশে কাউকে পাই নাই। সব থেকে প্রয়োজন ছিল যাকে, যাকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবতাম তাকেও আমি আমার পাশে পাই নাই। হইত আমাকে সাপোর্ট করার মতো কেউ থাকলে আজকে এই মৃত্যুটা আমার হইতো না। সেকেন্ড টাইমের প্রিপারেশন নেওয়ারও আমার কোনো মানসিক বা শারিরীক শক্তি নাই। আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো।
সুইসাইড নোটে লিখেছেন, মায়ের কাছে গিয়ে মাঝে মধ্যে কাঁদতাম মাও বুঝে নাই আমাকে। আমি একটা বোঝা সবার কাছে। আমার মৃত্যর জন্য আমার এই বড় বড় স্বপ্ন গুলোই দায়ী। আমি আমার বাবা, মার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই। আমাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাইলে নদীর জলেই খুঁজো। আমার মৃত্যুটা এভাবেও চাই নাই ভালো থাইকো সবাই। আমি আমার এই জীবনটা আর নিতে পারছি না। আমারে মাফ করে দিও সবাই। এভাবে দম বন্ধ করে বাচতে পারতেছি না আর।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় সুন্নত আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে ও পেশায় মুদি দোকানদার।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠান। এ সময় বৃদ্ধ শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা।
তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সঙ্গে এমন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ছাত্রলীগ নেতাকে বেদম পিটুনি, ভিডিও ভাইরাল
কক্সবাজার টেকনাফ হ্নীলা এলাকায় ফেসবুকে ছবির পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় টেকনাফ হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীন হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওই ঘটনার ভিডিও মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীন বলেন, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম আওয়ামী লীগকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেন। সেটি আমার চোখে পড়লে তার পোস্টে কমেন্ট করে আমি এর প্রতিবাদ জানাই। এরপর তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। আমি সেটি খুব সাধারণ ভাবেই নিয়েছিলাম। সেদিন আমার ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলাম। আমি হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে পৌঁছানো মাত্র ছাত্রদলের ১০-২০ জন নেতাকর্মী আমার গতিরোধ করে মারধর শুরু করেন। আমাকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় একজনও এগিয়ে আসেনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে একটি স্টেশনের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার চেয়ে জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। ঘটনা শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ সময় অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গনী বলেন, আমি শুনেছি ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে তর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাতেই যে বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, একই সঙ্গে বৃষ্টির ফলে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমবে।
বুধবার (১ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. নূরুল করিম বলেন, আজ রাত থেকে আগামীকাল দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এতে বিরাজমান তাপপ্রবাহ কমে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রশমিত হতে পারে।
তিনি বলেন, আজ বুধবার চট্টগ্রাম শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার ও কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ সারাদেশে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বস্তা থেকে বের হচ্ছিল দুর্গন্ধ, মিলল স্কুলছাত্রীর মরদেহ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে স্বপ্না আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলীর একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্বপ্না আক্তার সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে আদমজী এমডব্লিউ স্কুলের ৮ম অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী জানান, নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলীর একটি পরিত্যক্ত একটি স্থানে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং সেটি থেকে বিকট গন্ধ আসতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা বস্তাটি খুলে একটি মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি টিম গিয়ে স্বপ্নার মরদেহ উদ্ধার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিল বলেন, কদমতলী এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গাতে ফেলে রাখা ওই বস্তা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা বস্তাটি খুলে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা বিষয়টি থানায় জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছেলের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর কবরে বেড়া দিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সাদেকুর রহমান ওই এলাকার মলাই উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।
এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুই বন্ধুসহ তেল আনতে গিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘরে ট্রাকচাপায় নিহত হন শাহাদাৎ হোসেন। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি আখাউড়ার আনোয়ারপুর গ্রামে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী কালু বলেন, সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ছিলেন। বড় ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলে শাহাদাৎ হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পড়াশোনা করতেন। শাহাদাৎ তার মাকে নিয়ে জেলা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি শাহাদাতকে মোটরসাইকেল কিনে দেন সাদেকুর রহমান। কিন্তু এ মোটরসাইকেলই কেড়ে নিলো আদরের ছেলেকে।
তিনি আরও বলেন, ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আজ ছেলের কবরে বেড়া দিতে বাগানে বাঁশ কাটতে যান সাদেকুর রহমান। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।