বোরো আবাদ করতে স্বউদ্যোগে ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন করছে গ্রামবাসী
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ৬৯ গ্রামের মানুষ স্বউদ্যোগে ২৭ বিলের পানি অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ জন্য বিলে বসানো হয়েছে ১২৬টি পাম্প মেশিন। সেই মেশিনের সাহায্যে পানি অপসারণ করে ফেলা হচ্ছে নদীতে। তারা আশা করছেন, এই বিলের পানি অপসারণ করতে পারলে প্রায় ৯ হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ করতে পারবেন।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাঠি ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের হরি নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের পাশে সারিবদ্ধভাবে ১২৬টি বিভিন্ন আকৃতির সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে। এ পানি গিয়ে নামছে হরি নদীতে। এলাকাবাসী বলছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে বিলখুকশিয়াসহ ২৭ বিলে জলাবদ্ধতা রয়েছে। পলি জমে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি নামতে পারছে না নদীতে। এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় মানুষ বিলের পানি অপসারণ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। পানির স্তর কমাতে আশায় বুক বাঁধছেন এলাকাবাসী। পানি দ্রুত নিষ্কাশন হলে এ মৌসুমেই বোরো আবাদ করবেন তারা।
রাত দিন ২৪ ঘণ্টা সেচযন্ত্র চালানো হচ্ছে। এটা দেখাশোনার জন্য ২৪ জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যয় হিসাবে বিলের জমির মালিকদের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি ১ হাজার করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। সব খরচ এটাকা দিয়েই মেটানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিল খুকশিয়াসহ ২৭ বিলের অবস্থান যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায় হরি নদীর গা ঘেঁষে। কেশবপুরের পাঁজিয়া ও সুফলাকাঠি ইউনিয়ন আর মণিরামপুরের দুর্বাডাঙ্গা ও মনোহরপুর এ চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ২৭টি বিলের অবস্থান। পানি নিষ্কাশন শেষ হলে ৬৯টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
২৭ বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সুপারভাইজার প্রদত্ত বিশ্বাস আরটিভি নিউজকে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়েছে। উদ্যোগটি সফল হলে ৯ হাজার একর জমিতে চাষাবাদের মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
পি
মন্তব্য করুন