বোনের বাড়িতে এসে ভাসুরের ধর্ষণের শিকার এতিম কিশোরী

সুনামগঞ্জের ছাতকে বোনের শ্বশুর বাড়িতে এসে দুলাভাইয়ের বড় ভাইয়ের (তালতো ভাই) ধর্ষণের শিকার হয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ১৩ বছর বয়সী এক এতিম কিশোরী। প্রায় তিন মাস আগে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়া এই এতিম কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত যুবককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে সিলেট নগরীর হযরত শাহজালাল (র.) মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ছাতক থানা পুলিশ।

ওই যুবক ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি হবিগঞ্জের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাবা-মা ছাড়া এতিম ভিকটিম কিশোরী তার একমাত্র বড় ভাইয়ের সঙ্গে বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। গত বছরের ৫ নভেম্বর তার বড় ভাই রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিতে বাইরে যাওয়ার সময় ওই কিশোরীকে তার বোনের বাড়িতে রেখে যায়। ওই দিন রাতে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বোন জামাইয়ের বড় ভাই হাফিজ সোলেমান আলী। এরপর নানা প্রলোভন ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। গ্রামের লোকজনের চাপে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দেয় ওই যুবক। কিন্তু নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে এক পর্যায়ে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায় ওই যুবকের পরিবার।

এ ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি ওই যুবকের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বড় বোন। এরপর কিশোরী আদালতে জবানবন্দী দেয় ও তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে তাকে।

এসআর/এসএস