পৌরসভা নির্বাচন
নৌকার প্রার্থীর দাবি তার পক্ষে নেতারা কাজ করছেন না!
মাঘের শৈত্যপ্রবাহে প্রচণ্ড শীত আর করোনাকে উপেক্ষা করে তৃতীয় ধাপে এবার রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভা নির্বাচন প্রচার-প্রচারণায় এখন তুঙ্গে উঠেছে। পোস্টার, মাইকিং, পথ-সভা, গণসংযোগসহ চলছে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া। তবে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুব লীগ নেতা মো. ফজলুল হক ফরহাদ।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরহাদের জগ মার্কাকে বিজয় করতে মাঠে নেমেছেন বিভিন্ন দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। জগ মার্কা প্রতীকের প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা ও গণসংযোগের ক্ষেত্রে পাংশা নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি পথ-সভায় নেমেছেন ফজলুল হক ফরহাদ। শনিবার তিনি ভোর থেকেই ৫, ৬ ও ৯নং ওয়ার্ডে শতাধিক সমর্থক সাথে পৃথক তিন নির্বাচনী পথ-সভা করেছেন।
গণসংযোগকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নৌকার প্রার্থী তার নেতাকর্মী সমর্থক ও এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রশাসনকে তা জানিয়েছি। তবে হুমকিতে আমরা ভয় পাই না”।
অপরদিকে নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডলের প্রচারণা চলছে সমান তালে। শুক্রবার পাংশা পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় মনোনীত প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মাস্টারের নৌকা মার্কার জন্য, মানুষের দারে দারে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী হকসহ আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
ওয়াজেদ আলী মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের টপ পর্যায়ের নেতারা নৌকার পক্ষে কাজ করছে না। আর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জগ-মার্কা প্রতীকের প্রার্থী ফজলুল হক ফরহাদ পৌর এলাকার বাইরে থেকে গুণ্ডা ও সন্ত্রাসী এনে তার নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ওই সন্ত্রাসীদের দিয়ে ৩০ জানুয়ারি ভোট কাটার ষড়যন্ত্র করছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ধানের শীর্ষের প্রার্থী সাবেক কমিশনার রইচ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, পাংশা পৌরসভা পঞ্চম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জিএম/এসএস
মন্তব্য করুন