তরুণীর চিৎকারে লোকজন এসে ধরে ফেলে ধর্ষককে

সিলেটে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক ইকবাল হোসেন ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষক ইকবালকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশ জানায়, ইকবাল হোসেন সিলেটের মোগলাবাজার থানার গঙ্গানগর গ্রামের ছানা মিয়ার ছেলে। তার সহযোগী কামরান হোসেন (১৮) বালাগঞ্জ উপজেলার নসিয়ারপুর গ্রামের ইফতেখার হোসেনের ছেলে। সে গঙ্গানগরে ফখরু মিয়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। সিলেট মহানগরীর শাহপরান এলাকার এক তরুণীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ইকবাল। ফোনে যোগাযোগ করে গত বুধবার ওই তরুণীকে শাহপরানের কুশিঘাট এলাকায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে কামরানের সহায়তায় তার বাসায় নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে ইকবাল।

এসময় তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ইকবাল পালিয়ে গেলেও জনতার সহায়তায় কামরানকে আটক করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষণের ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। ওই দিনই কামরানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের আরটিভি নিউজকে জানান, অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ইকবালকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসআর/ এমকে