• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওসি বললেন, ‘শীতে সারা দেশেই গরু চুরির ঘটনা একটু বাড়ে’

টাঙ্গাইল (দক্ষিণ) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৯
চুরি×গরু×টহল×অভিযোগ×টালবাহানা×টাঙ্গাইল×আরটিভি×শীত×
ছবি আরটিভি নিউজ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতি রাতেই কোনও না কোনও এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।

গেলো এক সপ্তাহে দুই এলাকার দুই জনের বাড়ি থেকে ৯টি গরু চুরি হয়েছে। ইতোমধ্যে চোরদের গুলিতে আহত হয়ে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন ট্রাক, ভটবটি, পিকাপ, সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার পাবেন না এ আশঙ্কা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে।

লাউহাটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাসমত আলী খান আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রতি রাতে গরুর ঘরে চোরের দল হানা দিয়ে থাকে। যাদের গরু আছে তারা রাত জেগে পাহারা দেয়।

লাউহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ ভুইয়া বলেন, আমাদের গ্রামের অতিদরিদ্র লালভানু তার স্বামী কেছু পাগলাকে নিয়ে গরু লালন পালন করে দুধ বিক্রি করে কোনোরকমে সংসার চালায়। কয়েক দিন আগে তার তিনটি গরুই চুরি হয়ে গেছে। বেচারি দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগায়। এখন ভিক্ষা করা ছাড়া তার আর কোনও উপায় নেই।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দেলদুয়ারে কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে।

রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশেই ডুবাইল গ্রাম। সে গ্রাম থেকে গেলো সোমবার রাতে হাসেন আলী খানের ছেলে হাসমত আলীর একটি গাভী এবং তারই ভাই বাছেদ খানের একটি ষাঁড় গরু ও একটি গাভী চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরা।

ডুবাইল গ্রামের মনির হোসেন জানান, চুরির ঘটনা টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির রঙ্গু খানের ছেলে শহীদ খান বাঁধা দিতে গেলে হাইওয়ের পাশে তাকে লক্ষ্য করে চোরেরা রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে তিনি বুলেটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে কাউকে আটক করা হয় না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল।

গরু চুরি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত ) কামাল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, থানায় গরু চুরির বিষয়টি আমরা জেনেছি। শীতের এই সময়টাতে এরকম চুরির ঘটনা সাড়া দেশেই একটু বাড়ে। তবে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে রাবার বুলেটের গুলিতে আহতের খবরটি সঠিক নয়। শহীদ খান চোরদের ধাওয়া করার সময় রাস্তার পাশে থাকা রডের সঙ্গে আঘাত প্রাপ্ত হন।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কচুরিপানায় তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
বাসাভাড়া নিয়ে গরু ডাকাতির পরিকল্পনা করে ওরা! 
হিলিতে গরুবাহী ভটভটির ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 
আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
X
Fresh