রহস্যজনকভাবে অচেতন করে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট
ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জে তিন দিনে পাঁচটি বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের রহস্যজনকভাবে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। থানায় মামলা করা হলেও এখানও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গেলো ১০ জানুয়ারি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের চানু মেম্বারের স্ত্রী ও দুই সন্তান অজ্ঞান হয়ে পড়ে সন্ধ্যায়। রাত বারোটার পরে জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান ঘরের আলমারি ও ওয়ারড্রবের তালা ভাঙ্গা। লুট হয় পাঁচ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংঙ্কার।
তবে কিভাবে তারা অজ্ঞান হয়েছিলেন সেই রহস্য এখনও অজানা।
একই রাতে মাইজহাটি গ্রামের কৃষক রোকন উদ্দিন, মগটুলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের আনসার সদস্য নেছার উদ্দিন, ১১ জানুয়ারি রাজিবপুর ইউনিয়নের বিলখেরুয়া গ্রামের আলিমুদ্দিন মাস্টারের বাড়িতে পাঁচজনকে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল খায়েরের পরিবারের তিনজনকে একই কায়দায় অজ্ঞান করে লুট করা হয়।
এরপর ১৪ জানুয়ারি মাইজহাটি গ্রামের স্কুলশিক্ষক হাবিবুর রহমান ও ব্যবসায়ী আকরাম হোসেনের বাড়ির শিশুসহ ১৫ জনকে অচেতন করে দুর্বৃত্তরা। শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারলেও পাশের বাড়ির ব্যবসায়ী আকরাম হোসেনের স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। প্রতিটি বাড়িতে লুটের পর বাড়ির পেছনে ফেলে যায় লবণ, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া।
এদিকে স্থানীয়দের সহায়তায় বাইরের কোনও চক্র এই কাজে জড়িত থাকতে পারে বলে জনপ্রতিনিধিদের ধারণা। এ ব্যপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া আরটিভি নিউজকে জানান, শিগগিরই রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বাড়ানো হয়েছে বিট পুলিশের কার্যক্রম।
জেবি
মন্তব্য করুন