যশোরে অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের বালু উত্তোলন
যশোরের চৌগাছায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মামলা ও জরিমানা করলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।
চৌগাছা বেড়গোবিন্দপুর বাওড়সহ উপজেলার পাতিবিলা, নিয়ামতপুর, মাধবপুর, দেবীপুর, দুলালপুর, আজমতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে একটি মহল।
এ ব্যাপারে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দাউদ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এনামুল হকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৯ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে জরিমানা আদায় করেন। এ সময় বালু উত্তোলন নিষেধ ও উত্তোলন করা কয়েক লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করে নোটিশ জারি করে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেন।
গতকাল বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের আজমতপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। কয়েকটি ট্রাকে জব্দকরা বালু বিক্রি করছে।
এসময় বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের যেসব স্থানে বালু উত্তোলন হচ্ছে, তার পাশে কয়েকশ একর আবাদি জমি রয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন করলে ফসলি জমি বিলীন হয়ে মানুষ নিঃস্ব হবে। বালু বহনের ট্রাক চলাচল করায় রাস্তায় প্রায় ১ ফুট ধুলাবালি জমেছে। বালু উড়ে পথচারীদের চোখেমুখে যাচ্ছে। বাসাবাড়ি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এছাড়া বালু বহনকারী রাস্তার পাশে কয়েকশ বিঘা পানের বরজ, রবিশষ্য ক্ষেতে ধুলাবালি পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
বাওড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রশাসনের আদেশকে তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে ঐ চক্রটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বহন করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে নগদ অর্থ জরিমানা, মালামাল জব্দসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও মালামাল জব্দ করেছি।
পি
মন্তব্য করুন