রেললাইন থেকে নবজাতক শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেললাইন থেকে নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা নবজাতক শিশুটিকে সম্ভবত চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। নবজাতক শিশুটির মাথাটা থেঁতলানো ছিলো। গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, স্থানীয়রা রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় পলিথিনে মোড়ানো এক ছেলে নবজাতকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুশিকে খবর দেন।
পরে গৌরীপুর রেলওয়ে পুলিশ রেললাইনে পড়ে থাকা নবজাতকের মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
জেবি
মন্তব্য করুন
কুষ্টিয়ায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নাফিস আহমেদ তুষার (২৮) নামে এক জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় গোলাপনগর বাজারের পাশে একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
নিহত নাফিস আহমেদ তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোলাপনগর বাজারের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন নাফিস আহমেদ তুষার। হঠাৎ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তুষারের বাবা রবিউল ইসলাম রবি বলেন, তুষার ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ১৭ রোজায় সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রেজাউল করিম বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তুষারের দুই পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তা ছাড়া পিঠে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল।
জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন বলেন, তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তার বাবা ইউনিয়ন জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
মেঘনায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ বিকল
মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে বিকল হয়ে পড়েছে একটি লঞ্চ। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০টায় গজারিয়া উপজেলার ষোলআনি এলাকায় বিকল হলে লঞ্চটি নোঙর করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, বরিশালগামী আল-সাফিন সাত্তার খান-১ নামে লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার সদরঘাট থেকে সন্ধ্যায় ছেড়ে আসে। গজারিয়ায় এসে লঞ্চটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তবে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আল-সাফিন কোম্পানির আরও একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। লঞ্চটি পৌঁছালে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীদের নিরাপত্তা দেবো।
ঈদের দিন বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু
নওগাঁর মান্দায় বাংলা মদ খেয়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাকুরিয়া গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্ৰামের আলী নেকবর আলীর ছেলে নিশাত (১৭), ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্ৰামের আক্কাসের ছেলে শারিকুল ইসলাম পিন্টু (১৮) এবং একই গ্ৰামের আব্দুর রশিদের ছেলে আশিক (১৮)। তারা সবাই মান্দার উত্তরা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা যায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী জানান, বিকেলে পাকুরিয়া গ্রামে বন্ধুরা মিলে বাংলা মদ পান করেন। এদের মধ্যে ওই তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর নিশাত ও শারিকুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। আর আশিক ঘটনাস্থলে মারা যায়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত বাংলা মদ পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মুক্তিপণ নিয়ে ফেরার পথে ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সোমালিয়ার সময় শনিবার রাত ১২টার দিকে জাহাজটি ছেড়ে তীরে পৌঁছানোর পর অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
‘গারোই’ নামে সোমালিয়ার একটি স্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে রাখা আট দস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ। তবে জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে পান্টল্যান্ড পুলিশের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এর আগে গত ১৭ মার্চ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিল পুলিশের ওয়েবসাইটে।
এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩২ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা।
রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়।
জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর একজন নাবিক হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্যদের জানান, শনিবার বিকেলে উড়োজাহাজ থেকে ব্যাগভর্তি ডলার জাহাজের পাশে ফেলা হয়। দস্যুরা তা কুড়িয়ে নিলেও জাহাজে অবস্থান করছিল। মূলত নৌবাহিনীর জাহাজ ও পান্টল্যান্ড পুলিশের নজরদারি এড়াতে গভীর রাতে তারা জাহাজ ছেড়ে যায়।
স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরা স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ইরানী আফরোজ তানু (২৭) নামের এক বিউটি শিয়ান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) শহরের কামালনগরের ভাড়া বাড়ির নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন তিনি। তিনি পলাশপোল সবুজবাগ এলাকার হান্নান গাজীর মেয়ে।
জানা গেছে, গত মাসে কামালনগর দক্ষিণপাড়ার এই ভাড়া বাড়িতে ওঠেন ইরানী। সাতক্ষীরা শহরে তিনি একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। বিভিন্ন বিষয়ে ওই দম্পত্তির সঙ্গে কলহ লেগেই থাকত। এদিন দুই সন্তানকে বাইরে রেখে এসে বাড়ি এসে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলা অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ইরানী। এরপর স্থানীয়রা তা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার তদন্ত (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।
স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নেশাগ্রস্ত এবং বিকৃত স্বভাবের স্বামী দীপের সংসার ছাড়তে মশলা বিক্রেতার মেয়ে প্রিয়ন্তী সাহা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের চৌধুরীকান্দা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রিয়ন্তীর স্বামী দীপ একজন শিল্পপতির ছেলে। আর প্রিয়ন্তীর বাবা কুমারেশ সাহা ভাঙ্গায় ফুটপাতের পাশে মশলা বিক্রি করে সংসার চালান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়ন্তী জানান, আমার বাবা-চাচাদের অনেক লোভ দেখিয়ে আমাকে বিয়ে করে দীপ। আমার বাবা সুখের কথা ভেবে আমাকে বিবাহ দেন ভাঙ্গা বাজারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রবিন সাহার ছেলে দীপের সঙ্গে। বিবাহ হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। হিন্দু ধর্মের রীতি-নীতিতে অনেক কিছু করতে হয়, যা দীপ প্রথম রাতেই বিবাহ সম্পন্ন না করে নেশায় আসক্ত হন। সে আমাকে একা রেখে নেশা করতে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, ফিরে আসে ভোররাতে। তাই নেশাগ্রস্ত স্বামীর সঙ্গে কোনোভাবেই আমার সংসার করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন স্ত্রী প্রিয়ন্তী।
তিনি জানান, তাকে জোর মদপান করতে হতো। মদ না খেলে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে টয়লেটের মধ্যে আটকে রাখত। এছাড়া আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে সে সেটা চেঞ্জ করে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছেড়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে আমি ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছি।
প্রিয়ন্তীর মা শিখা সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপ আমার মেয়ে প্রিয়ন্তীর জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। ছেলে যে এমন নেশাগ্রস্ত তা জানলে কিছুতেই তার কাছে বিয়ে দিতাম না মেয়েকে। এছাড়া দীপের পরিবার অনেক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
প্রিয়ন্তীর চাচা গোপাল সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলের কাছে আমার ভাতিজি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রিয়ন্তীকে বিয়ে দেওয়ার পর তার জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।
দীপের চাচা রাজকুমার সাহা জানান, আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে দীপ। আমরা অনেক আনন্দ করে বিয়ে করিয়েছিলাম, কিন্তু দীপ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। মনে করেছিলাম বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, দীপের বিরুদ্ধে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। দীপ তার স্ত্রীকে দিয়ে মদপানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাতে জোর করত। পরে তার স্ত্রী প্রিয়ন্তীকে আমরা উদ্ধার করে ওর বাবা-মায়ের হাতে দিয়েছি। এরপরও স্বামী দীপ কোনো অন্যায় করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।