• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কৃষি বিভাগের বিশেষ উদ্যোগ, পতিত জমিতে গড়ে উঠেছে সবজি খামার 

এসএম শামসুর রহমান, বাগেরহাট

  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১২:৪৯
কৃষি বিভাগের বিশেষ উদ্যোগ, পতিত জমিতে গড়ে উঠেছে সবজি খামার 

বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনাকালীন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। কৃষকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উন্নত জাতের সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করায় ফকিরহাটের লখপুর এলাকার মাঠ জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। এতে একদিকে যেমন ফসলের দাম পেয়ে খুশি চাষিরা অপরদিকে পূরণ হচ্ছে পুষ্টির চাহিদা।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বাগেরহাটের ফকিরহাটে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বিনামূল্যে চাষিদের বীজ ও সার দেয়ার পাশাপাশি কৃষকদের করোনাকে ভয় করে ঘরে বসে না থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে চাষিরা পতিত জমিতেও সবজি খামার গড়ে তোলেন। তাদের খামারে উন্নত জাতের লাউ, বরবটি, শসা, বেগুনসহ নানা ধরনের সবজি উৎপাদন হচ্ছে। আর এসব সবজির বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা।

লখপুর এলাকার আল আমিন শেখ জানান, করোনাকালীন এক প্রকার বেকার সময় কাটছিল। এসময় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে রাস্তার পাশে পতিত জমিতে চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। দেয়া হয় কিছু বীজ। বিনামূল্যে পাওয়া এসব বীজ তিনি লাগিয়েছেন। দিয়েছেন জৈব সার। এখন ফসল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক রোকন মোল্লা জানান, তিনি ঘেরের পাড়ে বিভিন্ন প্রকারের সবজির চাষ করতেন। করোনার কারণে সেটাও এবছর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। একপর্যায়ে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস তাকে উন্নত জাতের লাউ চাষ করার পরামর্শ দেন। এখন একদিন পর পর ৫০ থেকে ৬০টি লাউ কাটতে পারছেন তিনি। আর প্রতিটি লাউ ঘেরের পাড় থেকেই ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে পাইকারি নিয়ে যাচ্ছে। এই লাউ চাষ করে তার সংসারের অভাব দূর হয়েছে।

শারমিন বেগম বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী দুইজনই সারাদিন মাঠে কাজ করে সংসার চালাই। করোনার কারণে আমরা হতাশায় ছিলাম কিভাবে সংসার চলবে? কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে উচ্চ ফলনশীল জাতের সিমের বীজ লাগিয়েছিলাম। কোন প্রকার রাসায়নিক সার ছাড়াই বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভাল। তাই আমাদের মনে সুখ আর মুখে এখন হাসি।

কৃষক উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, রাস্তার পাশে পতিত জমিতে তিনি একবছর মানকচু ও মেটে আলু লাগিয়েছেন। যে জমিতে কোনও দিন কোনও ফসল হয়নি ফসলের আশাও কেউ করেনি সেই জমিতে আজ ফসল হয়েছে। এই ফসল উঠলে অনেক আয় হবে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস জানান, প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা থাকবে না এই আদেশের বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। করোনাকালীন চাষিদের পাশে থেকেই তাদের সহায়তার পাশাপাশি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh