নববধূকে হত্যার পর স্বামী পলাতক
সিলেট মহানগরীর কাজীটুলা এলাকায় নববধূকে হত্যা করে পালিয়েছেন স্বামী। গতকাল রোববার রাত ১২টার আগে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক স্বামীর নাম মো. আল মামুন। তার বাড়ি বরিশালের হোগলার চরে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে তার ভোটার আইডি কার্ডে ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ আছে সিলেট সিটি করপোরেশনের বারুতখানা এলাকার নাম। আর নববধূর নাম তামান্না বেগম (১৯)।
তার পৈতৃক নিবাস এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকায়। তবে তারা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ উপজেলার এমসি একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। নববধূর ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা জানান, গতকাল রোববার দিনগত রাত নয়টার একটু আগে তার বোনের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন তার মা। তখন কথাবার্তা ছিল স্বাভাবিক আর দশটা দিনের মতো। সকাল থেকে তামান্না ও তার স্বামী আল মামুনের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এমনকি মামুনের আত্মীয়-স্বজনের নম্বরও বন্ধ পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। দুপুরের দিকে পুলিশ নিয়ে এই দম্পতির কাজীটুলার অন্তরঙ্গ এ/৪ নম্বর ভাড়া বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। দরজা ভেঙে ভেতরে দেখেন বিছানায় তামান্নার লাশ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, গলায় কিছু পেঁচিয়ে ফাঁশ দিয়ে তামান্নাকে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়েছে।
গলায় তেমন দাগ আছে বলেও দেখা গেছে। আর মাথার কাছে পাওয়া গেছে খোলা একটা কেক। উল্লেখ্য, পারিবারিক আয়োজনে টিনএজ তামান্নার বিয়ে হয় গেলো ৩০ সেপ্টেম্বর গোলাপগঞ্জের খান কমিউনিটি সেন্টারে। পাত্র আল-আমীন নগরীর জিন্দাবাজারের আলমারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্সের মালিক। বিয়ের আগের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর ঘাতক আল মামুন কাজীটুলার বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন।
জেবি
মন্তব্য করুন