রোগী আনতে গিয়ে মৃত ৫, বাড়িতে চলছে শোকের মাতন
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ নড়াইলের পাঁচজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সিংগা ও দাসেরডাঙ্গা গ্রামে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই পরিবার ও স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন- অ্যাম্বুলেন্স চালক দাসেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন মোল্যার ছেলে টিপু সুলতান (৩৫), লোহাগড়া তেল পাম্প এলাকার গ্যারেজ মিস্ত্রী সিংগা গ্রামের মফিজুর রহমান (৪৮) ও তার স্ত্রী নাদিয়া বেগম (৩৪) ছোট ছেলে রিফাত রহমান (১৪) ও মফিজুরের শ্যালক আলিম শেখ (৪৫)। এ সময় আহত অপর শ্যালক ইনছান (৫২)কে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে মফিজুর রহমান তার মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে আনতে যায়। সেখান থেকে দুপুরে নাদিয়াকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে লোহাগড়ায় ফেরার পথে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া এলাকায় কৃষি বিভাগের বিএডিসি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চালকসহ ৫ জন নিহত হন।
এদিকে দুর্ঘটনার নিহতের খবর শুনে তার মা, স্ত্রী, বোন ও সন্তানরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। প্রতিবেশীদের অনেকেই ওই বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। এখন লাশের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার।
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট ওয়াহিদ জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইফাদ নামে ওই অ্যাম্বুলেন্স পাবনা থেকে কুষ্টিয়া হয়ে ঝিনাইদহ যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজারের পাশে একটি মাইক্রোকে সাইড দিতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে ৫ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার কাজ চালায়।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ বলেন, মাত্র একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আহত ব্যক্তিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য একই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন