দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এসে প্রথম স্ত্রীকে সিগারেটের ছেঁকা
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আসায় প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীর মুখে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে এক পাষণ্ড স্বামী।
প্রতিবেশীরা প্রতিবাদকারী গৃহবধূ মনিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে স্বামী এই অমানবিক ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূ মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর বরহাটি এলাকার মৃত আব্দুল বারেক তালুকদারের মেয়ে।
আর অভিযুক্ত স্বামী হাজিবুল মল্লিকপুর গ্রামের মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে।
গৃহবধূ মনি জানান, হাজিবুল প্রথমে আমার বড় বোন নাসিমাকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিনটি সন্তান রেখে বড় বোন মারা যায়।
পরে বোনের সন্তানদের দেখাশোনার কথা বিবেচনা করে ১১ বছর আগে বোন জামাইয়ের সঙ্গে অভিভাবকরা মনিকে বিয়ে দেন। তারপর থেকেই স্বামী কাজের জন্য ঢাকা চলে যায়। আমার তেমন খোঁজখবর নিতো না। যে কারণে আমাকে অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতে থাকতে হতো। মাঝে মধ্যে বাড়ি আসতো সে। এরমধ্যে গত ৯ অক্টোবর সিজারে আমার একটি কন্যা সন্তান হয়।
সিজারের খরচপাতিও বাবার বাড়ির লোকজন বহন করতে হয়েছে। সে ঢাকায় নাকি গার্মেন্টসে কাজ করে। কয়েকদিন হয় বাড়ি এসেছে। কিন্তু সঙ্গে একটি মেয়ে নিয়ে আসে। জিজ্ঞেস করলে জানায় নতুন বউ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমার ওপর শুরু করে নির্মম নির্যাতন। মঙ্গলবার সকালে আমাকে কিল-ঘুষি শুরু করে। একপর্যায়ে সিজারের সেলাই করা পেটে লাথি মারলে রক্তক্ষরণ হয়। তার পর আবারো সিগারেট দিয়ে আমার মুখে ছ্যাঁকা দেয়। আমার চিৎকারে আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই গৃহবধূর ফুফাতো ভাই নূরুজ্জামান কাঞ্চন জানান, বোনকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন