কক্সবাজার শহরে অস্ত্রের মহড়া’র ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
কক্সবাজার শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর দিন দুপুরে এই অস্ত্রের মহড়া দেখে হতবাক শহরবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়া এলাকায় দুই পক্ষ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাজিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে শেষ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানসহ দলীয় নেতারা এবং পুলিশ হস্তক্ষেপ করেন। নিকট অতীতে কক্সবাজার শহরে দিন-দুপুরে এভাবে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি।
জমির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের ঘটনায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয়ায় ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই ছাত্রলীগের নেতাকে বহিষ্কার করা হলো। তার নাম রিদুয়ান আলী সাজিন। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি।
কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইকবাল রিপন ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আজমের যৌথ স্বাক্ষরে রিদুয়ান আলী সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহর শাখার আওতাধীন তিন নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রিদুয়ান আলী সাজিনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
কক্সবাজার পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়ারছড়া শিল্প এলাকার ঠোঁটিয়া পাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে দুইপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। ওই ঘটনায় তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে গিয়ে এক পক্ষে অবস্থান নেন রিদুয়ান আলী সাজিন। তিনি প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি বর্ষণ করেন। সাজিন ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বর্ষণের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে তাদের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এনএম/জেবি
মন্তব্য করুন