যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ শনিবার সকালে কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গেলো চার দিন ধরে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে যমুনা নদীর পানি আরও দুইদিন বাড়তে পারে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
চলমান বন্যা প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এরই মধ্যে জেলার বন্যাকবলিত ছয়টি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার প্রায় ২৫০ গ্রামের ৫৮ হাজারেরও বেশি পরিবারের তিন লাখ ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ক্ষেতের ফসল। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। গবাদিপশু, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, থাকা-খাওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে বানভাসীরা। পানি যতো বাড়ছে বিভিন্ন স্থানে ততো তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন। বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল হওয়ায় অনেক স্থানে বানভাসীরা ত্রাণ পাচ্ছে না।
বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষেরা দীর্ঘ সময় ধরে নৌকায় ও ঘরের ভেতর পানির মধ্যে বসবাস করায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে ভুগছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন