• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অবসান হলো বিমানবন্দরে স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ আগস্ট ২০২০, ২১:২৭
অবসান হলো বিমানবন্দরে স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের, ছোট বউ পেলেন স্বামীর অধিকার

ঢাকার বিমানবন্দরে স্বামীকে নিয়ে দুই স্ত্রীর দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীই পেলেন স্বামীর মালদ্বীপ প্রবাসী স্বামী মাঈনুলের অধিকার।

গত ১৮ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীর যুদ্ধ গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্বামীকে দুই স্ত্রীই নিজের ঘরে নিতে রীতিমত যুদ্ধে মেতেছিলেন।

সোমবার বিকেলে আলোচিত এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এক শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে অবশেষে দ্বিতীয় স্ত্রী তমাই পেলেন স্বামীর অধিকার।

জানা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বাসরা গ্রামের মাইনুদ্দিন মিয়াজী ২০১০ সালে শ্রমিক ভিসায় মালদ্বীপ যান। ২০১৪ সালে ছুটিতে বাড়িতে এসে একই উপজেলার টামটা গ্রামের সানজিদা আক্তারকে বিয়ে করেন। এরই মাঝে তাদের ১টি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রী সানজিদা আক্তারের সাথে মানিুদ্দিনের দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। কয়েক বছর যাবত স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছিল। এরই মাঝে সানজিদা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৮ সালে ওই প্রবাসী নারায়ণগঞ্জের মেয়ে তমাকে বিয়ে করেন। সে ঘরেও ১টি সন্তান জন্ম হয়। দুই স্ত্রীই বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল। তবে প্রথম স্ত্রীর সাথে বিরোধের কারণে তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল না তার। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেই চলছিল বেশি সখ্যতা।

গত ১৮ আগস্ট প্রবাসী মাইনুদ্দিন মালদ্বীপ থেকে দেশে আসছে প্রথম স্ত্রীর কাছে এমন খবর আসে। তখন দ্বিতীয় স্ত্রীর পাশাপাশি প্রথম স্ত্রী এসেও এয়ারপোর্টে অবস্থান নেন। এসময় এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার পর স্বামী নিয়ে দুই স্ত্রীই যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি গোচর হয়। বিমানবন্দরে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্বামীসহ দুই স্ত্রীকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। পরে বিষয়টি শুরাহার অঙ্গীকার করে প্রবাসীকে জিম্মায় নিয়ে আসেন তারই চাচা আলী আহাম্মদ মিয়াজী।
সোমবার বিকেলে এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রথম স্ত্রী সানজিদাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং সন্তানের নামে ৫ শতাংশ জায়গা লিখে দেয়াসহ সন্তানের মাসিক ভরন পোষণ বাবদ অর্থ প্রদান সাপেক্ষে তাকে ডিভোর্স দেয়া হয়। আর দ্বিতীয় স্ত্রী তমাকে নিয়ে সংসার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এ বিষয়ে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, প্রবাসী মাইনুদ্দিনের চাচা আলী আহাম্মদ মিয়াজীর উদ্যোগে একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। প্রথম স্ত্রীর সাথে মাইনুদ্দিনের বিরোধ এবং কলহ চরম আকার ধারণ করায় উভয়ের মতামতের ভিত্তিতেই তাদেরকে আলাদা করে দেয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নিয়মিত সংসার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এনএম/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh