• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

সাবেক ওসি প্রদীপসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা 

কক্সবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৮ আগস্ট ২০২০, ১৭:৫৯
former OC Pradeep
ফাইল ছবি

সদ্য বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার এলাকার সুলতান আহমদের স্ত্রী গুলচেহের।

কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ (টেকনাফ) এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে এএসপি সমমানের পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইনসাফুর রহমান জানিয়েছেন, গত ৪ জুলাই সকালে বাদী গুলচেহেরের দুই সন্তান সাদ্দাম হোসেন ও মো. জাহেদ হোসেনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেবে বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় মৃত লাশ প্রদান করা হবে বলে হুমকি দেয় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান। পরে পৃথকভাবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু তাদের ছেড়ে না দিয়ে মো. জাহেদ হোসেনকে মিথ্যা অভিযোগে আদালতে সোপর্দ করলেও মো. সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে। এ মর্মান্তিক ঘটনায় মশিুউর রহমানকে এক নম্বর ও প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামী করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৪ জুলাই টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মৃত সুলতান আহামদ বাদশার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও জাহেদ হোসেনকে বাড়ির অদূরে রাস্তা থেকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। তাদের ছাড়িয়ে আনতে ফাঁড়িতে যান মা গুলচেহের।

তাদের ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান। একপর্যায়ে পাঁচ লাখ টাকায় উভয়ের মধ্যে রফাদফা হয়। পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে একই দিন তিন লাখ টাকা সরাসরি হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমানের হাতে দেন গুলচেহের। বাকি দুই লাখ টাকা পরদিন মশিউর রহমানের কথা মতো তার পাঠানো বাহক ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুল আমিনকে দেন।

বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহেদ হোসেনকে একটি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেন। ৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে এনে সাদ্দাম হোসেন ও অন্য একজনকে গুলি করে পুলিশ। এতে গুরুতর আহত হয় সাদ্দাম হোসেন। পরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গুলচেহের এজাহারে দাবি করেন, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ মশিউর রহমান, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও মামলার তিন নম্বর আসামি আরিফুর রহমানের পরামর্শ এবং নির্দেশক্রমে অন্য আসামিরা সাদ্দাম হোসেনকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছেন। সাদ্দামকে মারার কিছুদিন আগে একইভাবে তাদের বাবা সুলতান আহমদ বাদশাকেও পুলিশ বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছে।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এসআই অরুণ কুমার দে, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই কাজি সাইফুদ্দিন, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মাঈন উদ্দিন, এএসআই মাযহারুল ইসলাম, এএসআই নঈমুল হক, এএসআই মিশকাত উদ্দিন, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, আবু হানিফ, মো. শরীফুল ইসলাম, মো. আজিজ, দ্বীন ইসলাম, মো. বোরহান, মো. জসিম উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, শেকান্দর, মহিউদ্দিন ও হ্নীলা ইউনিয়নের দফাদার নুরুল আমিন নুরুল্লাহ।

আরও পড়ুন: সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভুয়া দলিলে কয়েকটি ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় চক্রটি
নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার 
মাদক কারবারে সংশ্লিষ্ট বদির দুই ভাই, জানালো সিআইডি 
সেই দুই রেস্টুরেন্টের মালিক গ্রেপ্তার
X
Fresh