ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে একদিনে ৫১ লাখ টাকার বেশি জরিমানা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে একদিনে ৫১ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বুধবার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ২৫৪টি মামলা এবং ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া ৭৮টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রাতদিন কাজ করছে।
আরটিভি/আরএ/এসএ
মন্তব্য করুন
ছিনিয়ে নেওয়া শিশু মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার
রাজধানীর আজিমপুরে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় গণমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ওই শিশুকে আজিমপুরের একটি বাসা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় একই বাসার সাবলেটে থাকা নারী ভাড়াটিয়া। বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান তিনি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি করেন। তার স্বামী বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারা আজিমপুরের লালবাগ টাওয়ারের পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাসার সাবলেট থাকা নারীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান ফারজানা। এরপর ওই নারী বহিরাগত দুজন পুরুষ ব্যক্তিকে নিয়ে এসে ফারজানাকে চড়-থাপ্পড় দেন। পরে তারা বাসার মালামাল নিয়ে যান। সঙ্গে দুর্বৃত্তরা ফারজানার শিশু সন্তানকেও ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসীম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডাকাতির সঙ্গে শিশু অপহরণের কারণ জানাল র্যাব
ঢাকার আজিমপুরের একটি বাসায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ডাকাতির সময় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে র্যাব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেছেন, মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ফাতেমা আক্তার শাপলা নামে এক নারীকে ঘটনার দিন মধ্যরাতে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত আরও ৪ জনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এর আগের দিন শুক্রবার আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় ঢুকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। শুধু মালামাল নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি তারা, নিয়ে যায় সেই বাসার আট মাসের শিশু জাইফাকেও।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় ওই নারী নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। অপহরণের ১ সপ্তাহ আগে শিশু জাইফার মায়ের সঙ্গে অফিসে যাতায়াত করার সময় গ্রেপ্তারকৃত শাপলার পরিচয় হয়। এ সূত্র ধরে শিশু জাইফার মায়ের কাছে সাবলেট ভাড়া নেন শাপলা। বাচ্চাটিকে অপহরণ করে এর মাধ্যমে টাকা নেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল তার।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের একটি বাসায় ডাকাতির সময় আট মাস বয়সী ওই শিশুসন্তানকে নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতরা- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে সারাদেশে আলোড়ন তৈরি হয়। বিশেষ করে সামাজিকমাধ্যমে ওই শিশুটির ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাকে খুঁজে পেতে সহায়তার জন্য অসংখ্য মানুষ তার ছবি ও সংবাদ শেয়ার করায় এটি সব জায়গায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সামাজিকমাধ্যমের পোস্টগুলোতে এক ধরনের উদ্বেগও লক্ষ্য করা যায়।
আরটিভি/এআর
ডাকাতি শেষে শিশু অপহরণ, ঘটনায় নতুন মোড়
নতুন মোড় নিয়েছে রাজধানীর আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি শেষে মায়ের কাছ থেকে শিশু ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এরই মধ্যে ফাতেমা আক্তার শাপলা নামে এক অপহরণকারী নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশু আরিশা জান্নাত জাইফাকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, অপহরণের ঘটনায় শিশুটির বাবা আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালের ল্যাব সহকারী হিসেবে কর্মরত আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছেন তারা। স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হয় না। এ কারণে শিশুটিকে তিনি অপহরণ করিয়েছেন কি না, সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ফাতেমা আক্তার শাপলার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। তিনি মোহাম্মদপুরের আদাবরে নবীনগর হাউজিংয়ে মা-বোনের সঙ্গে থাকতেন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত শিশুটির মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন শাপলা। একপর্যায়ে শিশুর মায়ের সঙ্গে সাবলেটে একই বাসায় থাকার পরিকল্পনাও করেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়িতে প্রবেশ করেন অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার। এ সময় কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়ে তিনজন সহযোগীসহ ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন ফাতেমা। বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করেন তারা। লুটপাট শেষে শিশু আরিশা জান্নাতকে অপহরণ করে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে রাখেন। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে র্যাব শিশুটিকে উদ্ধার করে।
আরটিভি/এসএপি-টি
রাজধানীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
রাজধানীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে পল্টন মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভোরে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে পেঁয়াজবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রাক ও বাস সড়কেই উল্টে যায়। এ সময় একটি অটোরিকশাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারা যান রিকশার যাত্রী এবং আহত হন রিকশার চালক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্টন থানা পুলিশের এস আই মো. আরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরটিভি/আইএম/এআর
‘বাবা মাইরো না মাইরো না, আর করব না’ আর্তচিৎকারের পরেও হত্যা
রাজধানীর পল্লবীতে দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মো. আহাদ (৪০) নামের এক বাবা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। নিহত শিশুদের নাম রোহান (৭) ও মুসা (৩)।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর বাইগারটেক নামক এলাকার বেপারী মার্কেটের পাশের একটি তিন তলা বাড়ির নিচতলায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
জানা গেছে, নিহত দুই শিশুর বাবা আহাদ মোল্লা বাসাবাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এবং মা রোজিনা আক্তার মেসে রান্নার কাজ করেন। নিহত দুই শিশুর মা রোজিনা আক্তারের বাসায় সোমবার বেড়াতে আসেন তার বৃদ্ধ বাবা ও মা।
ঘটনার বর্ণনায় শিশুদের অসুস্থ সত্তরোর্ধ্ব নানা জাবেদ আলী বলেন, আমি পাশের কক্ষেই ছিলাম। যে কক্ষে ঘটনা ঘটে সেখানে দুই সন্তান নিয়ে ছিল আহাদ। আমি শব্দ পেলাম। ছোট ছেলে কান্না করে বলছিল, ‘বাবা মাইরো না, মাইরো না। আর করব না।’
জাবেদ আলী আরও বলেন, ‘আমি তখনো বুঝতে পারিনি, আহাদ তার ছেলেদের হত্যা করছে। আমি অসুস্থ থাকায় বিছানা থেকে উঠে যেতে ৩ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। আমি গিয়ে দেখি, আমার দুই নাতিকে গলা কেটে বিছানায় ফেলে রেখেছে আহাদ, সে নিজেও বিছানায় শোয়া। এরপর আমি হামাগুড়ি দিয়ে চিৎকার করে রাস্তায় এসে মানুষজন ডাকি। স্থানীয়রা এসে ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই শিশুদের মা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘সোমবার ভোরে আমার স্বামী কাজ থেকে বাসায় ফেরেন। সকাল ৯টার দিকে আমি আমার বেড়াতে আসা মাকে নিয়ে মেসে রান্নার কাজে রওনা দিই। এ সময় আমার স্বামী দুই ছেলেকে বাসায় রেখে যেতে বলেন। পরে মেসে পৌঁছানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফোন আসে আমার দুই ছেলে মারা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আহাদ অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত ছিল। সে প্রায়ই আমার কাছে টাকা চাইত, তবে আমার কাছে এত টাকা ছিল না। ঋণের কারণে সে ছেলেদের হত্যা করতে পারে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি আছেন আহাদ। তার শ্বাসনালী কেটে গেছে। আহাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ওই বিভাগের চিকিৎসক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ মামুন।
পল্লবীর ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নিহত শিশুদের মা রোজিনা এ ঘটনায় মামলা করেছেন।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে কেমন আছেন সেই বাবা
রাজধানীর পল্লবীতে ৭ ও ৩ বছর বয়সী দুই ভাই রোহান এবং মুছাকে গলা কেটে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৪০ বছর বয়সী বাবা আহাদ মিয়া। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৬ নভেম্বরের এই ঘটনা বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে জনমনে।
আহাদ মিয়া বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় নাক কান গলা বিভাগে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক বলছেন, আহাদ মিয়ার শ্বাসনালী কাটা পড়েছে। তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও শঙ্কামুক্ত নয়।
এই ঘটনায় নিহত দুই শিশুর মা রোজিনা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় একমাত্র আসামি হচ্ছেন তার স্বামী আহাদ মিয়া।
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহ ও অভাব অনটনসহ বিভিন্ন বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নাম্বার ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় বিছানায় পুলিশ পাহারায় আহাদ মিয়ার চিকিৎসা চলছে। তার গলার কয়েক জায়গায় ব্যান্ডেজ। গলায় নিজে ছুরি চালিয়ে জখম করার কারণে কথাবার্তা বলতে পারছে না। এদিক সেদিক ফেল ফেল করে তাকাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত এক চিকিৎসা জানান, গতকাল (শনিবার) গলাকাটা অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা আহাদকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তার চিকিৎসা করা হয়। তার গলায় অনেকগুলো সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতেই হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই শিশুর মা রোজিনা বাদী হয়ে আহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আহাদ ঋণগ্রস্ত, পাশাপাশি তার স্ত্রী রোকেয়া বিভিন্ন বাসাবাড়ি গৃহকর্মীর কাজ করে। সেটা তার স্বামী আহাদ মিয়া মেনে নিতে পারেনি। অনেকবার তার স্ত্রীকে বারণ করেছে, এইসব কাজ না করার জন্য। কিন্তু আহাদ মিয়ার এসব কথা মানেনি তার স্ত্রী রোকেয়া। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। ঋণগ্রস্ত ও সাংসারিক এসব ঝামেলা নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন আহাদ মিয়া। এই কারণে দুই শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজেই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেই দিকটিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আহত আহাদ মিয়া সর্বশেষ নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরি করতেন। এর আগে তিনি যেখন যে কাজ পেতেন পেটের দায়ে সেটেই করতেন।
আরটিভি/এআর/এসএ
মহাখালীতে শিক্ষার্থীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ, আটকে আছে ২ ট্রেন
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে লাইনে থাকা ২টি আন্তঃনগর ট্রেন আটকে রয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা কন্ট্রোল রুম।
কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মহাখালী এলাকায় লাইনে ২টি আন্তঃনগর ট্রেন আটকে আছে। এর মধ্যে জামালপুরের তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী বনলতা এক্সপ্রেস।
এর আগে, আজ অবরোধের মধ্যে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস মহাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় শিক্ষার্থীরা সেটি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্রেনটি না থামায় তারা তাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আজ সকাল থেকে মহাখালীর রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধের কারণে সারাদেশে রেল যোগাযোগ যেমন বন্ধ রয়েছে, তেমনি মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে মহাখালী, বনানী ও জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ট্রেনের যাত্রী থেকে শুরু করে বাসের শত শত যাত্রীও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আরটিভি/আইএম/এসএ