• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

নয়াপল্টনে ৩০ হাজার সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার

আরটিভি নিউজ

  ১০ জুন ২০২৪, ১৬:৪৬
নয়াপল্টনে ৩০ হাজার সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী নয়াপল্টনে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ৩০ হাজার সিম কার্ড ও অনুমোদনবিহীন বেশ কিছু ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

এ সময় অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহির্বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবসার অভিযোগে মো. সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম রাজ (৩৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে পল্টনের একটি বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।

উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আছে ৫১২ পোর্টের তিনটি সিমবক্স, ২৫৬ পোর্টের পাঁচটি সিমবক্স, ১২৮ পোর্টের পাঁচটি সিমবক্স, ১৬ পোর্টের তিনটি সিমবক্স, পাঁচটি ওয়্যারলেস রাউটার, ছয়টি সুইচ, ২৫টি জিএসএম এন্টিনা, তিনটি মিনি পিসি, তিনটি মিডিয়া কনভার্টার, একটি এসএসডি হার্ড ডিস্ক, একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিও, দুটি পাওয়ার ক্যাবল, দুটি ইউএসবি ক্যাবল, দুটি চার্জার, দুটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার সিমকার্ড, একটি মাইক্রোটিক রাউটার, পাঁচটি পেনড্রাইভ ও চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি।

তিনি জানান, বিভিন্ন চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ জানতে পারে, কয়েকজন অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ঢাকা মহানগরীর নয়াপল্টন এলাকায় একটি বাড়িতে বিটিআরসির অনুমোদনবিহীন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগের ব্যবসা করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব অধিনায়ক আরও জানান, রাজধানীর গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে সাইফুলের একটি মোবাইল দোকান ছিল। তার দোকানের কর্মচারী ওয়ালির মাধ্যমে সে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়ায়। ওই দোকানেই তারা চার-পাঁচ মাস ব্যবসা পরিচালনা করেন। পরে যে টাকা আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে তারা আরও যন্ত্রপাতি কিনে এই বাড়িতে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। এ ছাড়া ওয়ালি দুবাইতে গিয়ে আন্তর্জাতিক একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। সেখানে বসেই তিনি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। আর দোকান মালিক সাইফুল ওয়ালির কর্মচারী বা সহযোগী হিসেবে দেশে বসে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন জামান নামে এক জার্মান প্রবাসী। তার মাধ্যমে একটি বিশেষ সফটওয়্যার সংগ্রহ করে সাইফুল। সাধারণত বৈধভাবে আন্তর্জাতিক গেটওয়ের কলগুলো গ্রাহকের কাছে এলে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সরকার সঠিক রাজস্ব পেত। কিন্তু এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করায় আন্তর্জাতিক কলগুলো সাধারণ কলে পরিণত হয়। ফলে দেশের অভ্যন্তরে সেগুলো লোকাল কলে পরিণত হয়। আর সরকারও বিশাল রাজস্ব হারায়।

মন্তব্য করুন

  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সীমান্ত থেকে ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার
সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সারা দেশে র‌্যাবের অভিযানে, গ্রেপ্তার ২৬৬
মিরসরাইয়ে ফ্ল্যাট থেকে নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার