• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

ঢাকায় বাদ হচ্ছে রিকশা, দখলে নিচ্ছে বাগি কার

মোহাম্মদ সায়েম

  ১১ মে ২০২৪, ২৩:১৮

শুধু ইউরোপ-আমেরিকা নয়, পায়ে চালিত রিকশা হারিয়ে যেতে বসছে খোদ রাজধানী ঢাকা থেকেই। পায়ে চালিত রিকশার স্থান দখল করে নিচ্ছে বৈদ্যুতিক রিকশা। এতে নেই উচ্চমাত্রায় শব্দ বা ধোঁয়া। প্রকৃতিবান্ধব এমন পরিবহন ব্যবস্থার জন্য নগরবাসীর অপেক্ষা ছিল দীর্ঘদিনের।

ঢাকার রাস্তায় দেখা যাচ্ছে পরিবেশবান্ধব এসব বৈদ্যুতিক রিকশা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এরইমধ্যে চালু হয়েছে দুই ধরনের ইলেক্ট্রিক রিকশা তথা বাগি কার। তিন চাকার ও চার চাকার এসব কার আকারে ছোট। অবশ্য তিন চাকার এই বৈদ্যুতিক রিকশা দেশে নতুন নয়। দেশের সর্বত্রই রয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। তবে সেগুলো আকারে কিছুটা বড়।

ফুয়েল ছাড়া শব্দহীন পরিবেশবান্ধব এ পরিবহনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সিএনজির তুলনায় খরচ কম, কিন্তু বাগি কারে যাত্রীও বহন করা যায় বেশি।

তিন চাকার এই বাহন দুজন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। আর আকারে বড় চার চাকার রিকশায় চড়তে পারবেন ১১ যাত্রী। চীন থেকে আমদানিকৃত এসব রিকশা বা বাগিকার বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরীক্ষামূলক চলাচল করছে; যা রিকশা বা সিএনজির তুলনায় কম খরচে যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যাটারিচালিত এসব গাড়ির ফলে ওই এলাকায় চাহিদা কমেছে রিকশা ও লেগুনার।

মূলত কম ভাড়ায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনে সক্ষম হওয়ায় যাত্রীরা দিন দিন এ দিকে ঝুঁকছেন। এ ছাড়া স্বল্প দূরত্বে অন্যান্য পরিবহনের থেকে আধুনিক ও কিছুটা বিলাসী হওয়ায় যাত্রীরাও লুফে নিচ্ছেন। এতে করে পায়ে চালিত রিকশা ওই এলাকায় কদর হারাচ্ছে। এভাবেই রাজধানীতে রিকশার স্থান দখল নিতে যাচ্ছে এই বাগি কার।

চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চীন থেকে তিন চাকার একটি বাগি কার আমদানি করতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়। আর অপেক্ষাকৃত বড় চার চাকার বাহনটিতে খরচ হয় ৭ লাখ টাকা।

তবে বাংলাদেশেই এসব রিকশা তৈরি করা সম্ভব বলে জানান এখানকার চালকরা।

এ এলাকায় বর্তমানে চারটি ইলেকট্রিক রিকশা চালু থাকলেও রাস্তায় নামার অপেক্ষায় রয়েছে এমন কয়েক হাজার রিকশা। এর সুফল ছড়িয়ে পড়লে স্বাভাবিকভাবেই পায়ে চালিত রিকশার স্থান দখল করবে এই তিন চাকার বৈদ্যুতিক বাহনটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত জরিপ বলছে, ২০১৮ সালে বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২০ লাখ ইউনিট। ২০২৭ সাল নাগাদ তা ১ কোটি ৬২ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে।

আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিলে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির যেমন ব্যবহার বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থান হবে খেটে খাওয়া মানুষদের।

মন্তব্য করুন

  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৬ দিন পর ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
সহিংসতায় ঢাকায় ২০৯ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩৫৭
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস
এবার ঢাকায় অনুশীলন ক্যাম্প টাইগারদের