রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
![](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/04/21/image-269948-1713675329.jpg)
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে রোববার (২১ এপ্রিল) ভোর ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ১৭০ পিস ইয়াবা, ৪৩ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১২০ গ্রাম হেরোইন, ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ১০ লিটার দেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৬টি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ
রাজধানীতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক নববধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মুত্তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মূলহোতা সুমনসহ তার সহযোগী পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু। এর মধ্যে সুমনের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ে না করায় পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারে সুমন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ওই নারী তার স্বামী সঙ্গে রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় ঘুরতে বের হন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা এলাকার কাছাকাছি আসলে সুমনের নেতৃত্বে সাতজনের দল তাদের অপহরণ করে ঝোপঝাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই নারীর স্বামীকে মুক্তিপণের ৭০ হাজার টাকা আনতে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি বের হয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন।
পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনরূপা এলাকায় যায়। কিন্তু এর আগেই আসামিরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে শনিবার (২৯ জুন) দুপুর নাগাদ সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মুত্তাজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অপহরণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
![রাজধানীতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/29/image-280470-1719682517.jpg)
মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ, গ্রেপ্তার ৭
রাজধানীর খিলক্ষেতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৯ জুন) মধ্যরাতে স্বামীকে নিয়ে খিলক্ষেতের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলেন ওই নববধূ। পথে ৬ থেকে ৭ ব্যক্তি তাদেরকে বনরূপা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে ওই নবদম্পতিকে মারধর করে ওই ব্যক্তিরা। এ সময় তারা ওই নারীর জন্য তার স্বামীর কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমের স্বামীকে ছেড়ে দেয় মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য। ভিকটিমের স্বামী ওই স্থান ত্যাগ করে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়।
এরই মধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে মারধর করে ও শারীরিক নির্যাতন করে। ভিকটিম তাদেরকে কাঁদতে কাঁদতে না মারার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামিরা ভিকটিমের আর্তনাদে কোনপ্রকার কর্ণপাত না করে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিরা ওই নববধূকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের ধরতে শুক্রবার রাত থেকেই অভিযানে নামে পুলিশ। এসি ক্যান্টনমেন্ট জোন শেখ মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
এসি শেখ মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনরূপা এলাকায় যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঝোপঝাড়ের ভেতরে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। ভোর চারটার দিকে পুলিশ সেখান থেকে ভুক্তভোগী নববধূকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে শনিবার (২৯ জুন) পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কাশেমসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি রিফাত রহমান শামীম বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানার পরপরই অভিযান শুরু হয়। গ্রেপ্তাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জড়িত একজন ওই নববধূর পূর্ব পরিচিত।
![মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নববধূ, গ্রেপ্তার ৭](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/30/image-280479-1719700713.jpg)
টানা ৪ মাস বন্ধ থাকবে ঢাকার যে সড়ক
মানবন্দর-দক্ষিণখান সড়কের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সড়ক ৪ মাস (১২০ দিন) বন্ধ থাকবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ কাজের জন্য এ সড়ক বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলা অবস্থায় প্রকল্পের আওতাধীন এয়ারপোর্ট-দক্ষিণখান রোডের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ১২০ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ও পথচারীদের ওই সময়ে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাওলা সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধ রাখার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকায় চালু স্মার্ট স্কুল বাস
স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চালু হওয়া স্কুল বাস সার্ভিসের জবা, গোলাপ ও টগর নামে চলবে তিন রুটের বাস।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসি স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়।
ইতোমধ্যে ডিএনসিসি স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস চালুর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩৯টি স্থানে নিজস্ব ব্যয়ে স্কুল বাস স্টপেজ নির্মাণ করেছে। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে ডিএনসিসি, বিআরটিসি এবং ডিএমপি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন জানান, শিক্ষার্থীদের ভাড়া প্রতি কিলোমিটার হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাড়ার পরিমাণ মাসিক ৮০০ টাকা হতে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
মকবুল হোসাইন বলেন, স্কুল বাসের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে এগুলো বিআরটিসি বাস, ট্র্যাকিং এবং আরএফআইডি সুবিধা। ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে অভিভাবকদের জন্য অ্যাপ। সার্ভিসটি মনিটরিংয়ের জন্য রয়েছে অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ডিএনসিসির জন্য পৃথক ড্যাশবোর্ড।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রতিটি বাসে থাকবে নিবেদিত ট্রিপ ম্যানেজার। প্রতিটি বাসের ভেতর থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা, আইএসই সার্ভিস এবং ২৪ ঘণ্টা ৭ দিনই হটলাইন সাপোর্ট।
স্মার্ট স্কুল বাস যে তিন রুটে চলবে, তাহলো–কুড়িল বিশ্বরোড (পুলিশ বক্সের কাছে)- কুড়িল চৌরাস্তা-বসুন্ধরা গেট-নদ্দা কোকাকোলা-নতুনবাজার (ভাটারা থানাসংলগ্ন)-নতুনবাজার (ইউএস অ্যাম্বাসির পূর্ব পাশের ঢাকা চাকা বাসস্ট্যান্ড)-বনানী বিদ্যা নিকেতন।
১০০ ফিট রাস্তায় বসুন্ধরা গেট (২নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন) ফ্যামিলি বাজার-ছোলমাইদ/সাঈদনগর-নতুনবাজার বাঁশতলা- শাহজাদপুর নতুনবাজার (ইউএস অ্যাম্বাসির পূর্ব পার্শ্বের ঢাকা ঢাকা বাস স্ট্যান্ড)-বনানী বিদ্যানিকেতন।
সুবাস্তু/উত্তরবাড্ডা (থানারোড)-হোসেন মার্কেট-লিংকরোড-গুদারাঘাট-গুলশান-১-টিবি গেট-ওয়ারলেস গেট-আমতলি (জলখাবার)-বনানী বিদ্যানিকেতন।
![ঢাকায় চালু স্মার্ট স্কুল বাস](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/04/image-281057-1720037842.jpg)
মিরপুরে কলেজ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর মিরপুরে কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির (বিজ্ঞান বিভাগ) এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কমার্স কলেজের পাশে হাউজিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোয়াটারে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম জুবায়ের হাসান রাফিত। তার বাবার নাম আবুল বাসার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে কমার্স কলেজের পাশে কলেজের এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে সবাই আছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
নিহত শিক্ষার্থী মামা নুরুজ্জামান বলেন, সকালে কোচিং করার জন্য জুবায়ের বাসা থেকে বের হয়। পরে সে বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধ্যায় তার কলেজের এক শিক্ষক জানায়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি আমার ভাগিনা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুদের সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেয়। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।
![মিরপুরে কলেজ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/06/image-281479-1720286482.jpg)
‘চিকিৎসক হতে চেয়েছিল জুবায়ের, খুনিরা সব শেষ করে দিলো’
রাজধানীর মিরপুরে সহপাঠীর বাসা থেকে জুবায়ের হাসান রাফিত নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) মিরপুর কমার্স কলেজের পাশের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলা থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, মিরপুর কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলেন জুবায়ের হাসান রাফিত। এক মাস আগে শ্রেণিকক্ষে এক সহপাঠীকে মারধর করছিল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং রাফিতের সহপাঠী রাজিন ইকবাল (সানি)। ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে এগিয়ে যায় জুবায়ের, ফলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় রাজিন। এরপর জুবায়ের বিষয়টি শিক্ষকদের জানালে কলেজ কর্তৃপক্ষ রাজিন ও তার বাবা ইকবাল চৌধুরীকে ডেকে সতর্ক করেন। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার কমার্স কলেজের পাশে স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় জুবায়েরকে ডেকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে রাজিন ও তার বাবার বিরুদ্ধে।
মিরপুর এলাকায় মামা মো. নুরুজ্জামানের বাসায় থেকে পড়ালেখা করত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নিহত জুবায়ের। তিনি বলেন, জুবায়ের শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে কোচিংয়ে গিয়েছিল। বেলা ৩টার দিকে তার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় তিনি খোঁজাখুঁজি করেন। পরে সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক ফোন করে তাকে জানান, জুবায়েরকে হত্যা করা হয়েছে। কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় তার ভাগ্নের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, এক বন্ধুকে নিয়ে কলেজের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। জুবায়ের ক্লাসের ক্যাপ্টেন ছিল। তার ভাগ্নে বিষয়টি শিক্ষকদের জানানোর কারণে রাজিন ক্ষিপ্ত হয়। পরে জুবায়েরকে পায়ে ছুরিকাঘাত করে আহত করে রাজিন। কিন্তু ভয়ে বিষয়টি তাকে বলেনি জুবায়ের। শনিবার যখন বাসায় ডেকে নেয়, তখন রাজিনের বাবা ইকবাল বাসায় ছিলেন। রাজিনের সঙ্গে তার বাবাও এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের পাশে বসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মামা নুরুজ্জামান বলেন, ‘জুবায়েরের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবে। কিন্তু খুনিরা সব শেষ করে দিয়েছে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুই সহপাঠীর ঝগড়ার জেরে রাজিন জুবায়েরকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’
তিনি বলেন, যেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাসায় রাজিন ও তার বাবা ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক।’
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার থানায় এসেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
![‘চিকিৎসক হতে চেয়েছিল জুবায়ের, খুনিরা সব শেষ করে দিলো’](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/07/image-281627-1720362918.jpg)
কোটা আন্দোলন: অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত পুলিশ
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল গণসংযোগ কর্মসূচি চালানোর পর আজ আবারও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর ব্যানারে বাংলা ব্লকেড এর ডাক দিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের এই কার্যক্রম সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। যেকোন পরিস্থিতিতে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
বুধবার (১০ জুলাই) ডিএমপির বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইতোমধ্যে কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখনই রাজপথ ছাড়তে নারাজ। শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পূর্ব ঘোষিত দিনব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এ অবস্থায় ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত প্রশাসন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি। সরকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে এখনও নমনীয়। তাই পুলিশ প্রশাসন অনেকটা নিশ্চুপ। তবে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অরাজকতা এবং নৈরাজ্য তৈরি হলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কড়া কোনো নির্দেশনা আসেনি পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করবো না। এখন পর্যন্ত তাদের জন্য আমাদের কাছে কোনো মেসেজ নেই। তবে আমাদের পুলিশ সব সময় সব কাজের জন্য প্রস্তুত থাকে। আমরা কী কাজ করব, না করব সেটা পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী দেখা যাবে। এজন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে। এটা পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন আছি।
![কোটা আন্দোলন: অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত পুলিশ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/07/10/image-281994-1720595403.jpg)