উত্তরাঞ্চলে বন্যার পদধ্বনি, বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তায় স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি বন্যা বিস্তৃত হতে পারে। অপরদিকে উত্তরাঞ্চলে দেখা দেয়া বন্যার অবনতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হয়ে তা আগামী কয়েকদিন পযন্ত গড়াতে পারে। ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারীর চরাঞ্চলে বন্যা দেয়া দিয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (২৫ জুন) আগামী ১০ দিনের বন্যার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি আগামী ১০ দিন বাড়তে পারে। ২৭ জুন নাগাদ ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারীতে এবং ২৮-২৯ জুন নাগাদ যমুনা নদীর পানি গাইবান্ধার ফুলছড়ি, জামালপুরের বাহাদুরাবাদ, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে; টাঙ্গাইলের এলাসিনে বিপদসীমা অতিক্রম করার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে এসব জেলায় স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি (অন্তত ৫ থেকে ৭ দিন) বন্যা হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে বাড়তে পারে। তবে আপাতত গঙ্গা-পদ্মা নদীর অববাহিকায় বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। পদ্মা নদী মুন্সিগঞ্জ জেলার ভাগ্যকুল পয়েন্ট এবং রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসব জেলায়ও স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীর পানি সামান্য বাড়তে পারে। তবে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর অববাহিকায় বিপদসীমা অতিক্রমের শঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার দুপুরে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আরো জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদী কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে এবং সারিগোয়াইন নদী সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময়ে তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং উভয়ই বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে। অপরদিকে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৩ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে এবং ৪৮ ঘণ্টায় সারিয়াকান্দি, কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট নীলফামারী, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
পি
মন্তব্য করুন