নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিপরীতে মালিকদের ৬ দফা
নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির বিপরীতে নৌযান মালিকরা ৬ দফা দাবি তুলেছেন।মালিকরা বলছে, করোনাকালে অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন পুরোপুরি দিতে পারছেন না। এরমধ্যেই নৌযান শ্রমিকদের এমন ধর্ম ঘটের পেছনে কারও উস্কানি থাকতে পারে।
নৌযান মালিকদের ৬ দফা দাবির আগে নৌযান শ্রমিকরা ১১ দফা দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করেছে আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিজয়নগর আকরাম টাওয়ার বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভা কক্ষে নৌযান মালিকরা জানান, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘট পালন করার উপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও রিট মামলায় খাদ্য ভাতার উপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি সকল পক্ষকে মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। শ্রমিকরা তা উপেক্ষা করে ধর্মঘট করছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার করে একটি কমিটির মাধ্যমে এবং রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করে আলোচনায় বসতে হবে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক বলেন, কিছু কোম্পানি শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা দিতে রাজি থাকলেও অধিকাংশ কোম্পানির পক্ষে তা সম্ভব নয়। কারণ যেসব কোম্পানি সিরিয়াল ছাড়াই মাসে পাঁচটি ভাড়া নেয় তাদের আয় বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ কোম্পানির পক্ষে সিরিয়াল ছাড়া ভাড়া নেওয়া সম্ভব হয় না। সিরিয়াল নিয়ে তিন মাসে একটি ভাড়া পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন ৬ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
১. ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) নীতিমালা উপেক্ষা করে চলাচলরত সিরিয়াল বিভিন্ন জেলায় কর্মরত শ্রমিকদের কম্পিউটার সার্টিফিকেট বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. শ্রমিক নামধারী কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী কর্তৃক জোরপূর্বক স্বাভাবিক জাহাজ চালানোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নৌপথে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. সরকারি গেজেট মোতাবেক ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্রমিক সংগঠনের অবৈধ দাবি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. নৌযান শ্রমিকদের সাহায্যে সার্ভিসটি বিভিন্ন অবৈধ জাহাজ চালানো বন্ধ করতে হবে।
৫. সমুদ্রে বহির্নোঙ্গর হতে অবৈধ বাল্কহেডের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।
৬. এসব দাবি পূরণ না করা হলে মালিকদের পক্ষে জাহাজ চালানো সম্ভব নয় বলে তারা দাবি করেন।
সংগঠনটির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সারোয়ার আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন