• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফণী মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত ২৭৩৯ আশ্রয়কেন্দ্র, বন্ধ সন্দ্বীপ-হাতিয়া নৌরুট

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, চট্টগ্রাম

  ০২ মে ২০১৯, ০৯:৩০
ছবি-সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাতের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া রুটে নৌচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফণি মোকাবিলার জন্য বৃহত্তর চট্টগ্রামে ২ হাজার ৭৩৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মাইকিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সচেতনতার জন্য।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সব সরকারি কর্মকর্তাকে স্থান ত্যাগ না করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ছুটি বাতিলের কোনও নির্দেশনা এখনো আসেনি।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১ হাজার ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • ঘূর্ণিঝড় ফণী এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh