রাজধানীর কোন এলাকায় কতজন আক্রান্ত
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৮ জন। দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৫ জন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪০৯ জন।
রোববার (৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি আরো বলেন, নতুন দুটি পরীক্ষাগারসহ মোট ৭৩টি পরীক্ষাগার চালু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭৩৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯০৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭২ হাজার ৬২৫ জনে।
তিনি জানান, মৃতের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের বিবেচনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো— মিরপুর এলাকা ১,৮৭৩, উত্তরা ৭০৭, মোহাম্মদপুর ৬৩০, মহাখালী ৫৭২, যাত্রাবাড়ী ৫৪১, মুগদা ৫২১, ধানমন্ডি ৪৯৫, মগবাজার ৩৬৮, খিলগাঁও ৩৪৩, তেজগাঁও ৩৪০, রামপুরা ৩২১, বাড্ডা ৩২০, কাকরাইল ৩১১, লালবাগ ২৯৪, গুলশান ২৭৫, বাসাবো ২৫০, রাজারবাগ ২৩৮, মালিবাগ ২১৯, গেন্ডারিয়া ১৮৬, ওয়ারী ১৬৩, বাবুবাজার ১৬২, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ১৬২, বংশাল ১৫৬, আদাবর ১৫৩, আগারগাঁও ১৪৩, ডেমরা ১৪১, শ্যামলী ১৩৯, আজিমপুর ১৩৮, শাহবাগ ১৩৬, হাজারীবাগ ১৩৫, বনশ্রী ১৩০, বনানী ১২৯, শান্তিনগর ১১৭, রমনা ১১৫, পল্টন ১১২ ও পোস্তগোলা ৫ জন।
উল্লেখ্য, চীনের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে ছড়ানো করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ এবং প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
আরও পড়ুন :
পি
মন্তব্য করুন