বিরোধীদলীয় নেতা-উপনেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব জনাব শামসুল ইসলামের নিকট বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে এবং বিরোধী দলীয় উপনেতার একান্ত সচিব জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলমের নিকট ঈদের কার্ড পৌঁছে দেন।
এ ছাড়া সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে ঈদের কার্ড পৌঁছে দেন আবু জাফর রাজু।
মন্তব্য করুন
জুলাই বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই মানুষের জানার আগ্রহ ছিল কে সেই জুলাই বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড। সম্প্রতি বিশ্বমঞ্চে মাহফুজ আলমকে জুলাই বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম মাস্টারমাইন্ড শব্দটির সঙ্গে একমত নন বলে জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, তাতে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না। সাধারণ মানুষ একে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আন্দোলনটাকে কয়েকজন মিলে পরিচালনা করতে হয়েছে। নিতে হয়েছে নানাজনের বুদ্ধি-পরামর্শ। তবে আমরা একে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হিসেবেই দেখি।’
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে করা খালেদ মুহিউদ্দীনের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম সাধারণ শিক্ষার্থীদের জায়গা। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও ছিলেন। এই আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব ছিল না। সাধারণ মানুষ এটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। একটা সময় আন্দোলন পরিচালনা করতে অনেকেই বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যার (মাহফুজ আলম) কথা বলা হয়েছে তিনি বিশেষভাবে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘মাহফুজ আলম বা আমরা কেউই এ মাস্টারমাইন্ড শব্দের সঙ্গে একমত নই। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা শব্দটাকে হয়তো ভালোবেসে ব্যবহার করেছেন।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে ’৬৯ এবং ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিলেও সামনে রাজনৈতিক দল ছিল। আন্দোলনের পর তারা ক্ষমতা নেয়। এবারের আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দল সামনে ছিল না। ৫ আগস্টের পর এ দায়িত্বটা আমাদের ওপর এসে পড়েছে। যার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
শাহজালাল বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন নিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের দাবিতে রাজধানীর উত্তরার বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় গত ৯ সেপ্টেম্বর। অবশ্য শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে বিষয়টি। এ অবস্থায় ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেছেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু নাসের খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
এদিন সচিবালয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আবু নাসের খান।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটি পরিবর্তন করা হবে কিনা, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
থার্ড টার্মিনালের কাজ ৯৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, থার্ড টার্মিনালটি উদ্বোধনে আরও ৬ মাস লাগবে।
প্রসঙ্গত, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণের দাবি জানিয়ে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে একাধিক দিন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা চার ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এ সময় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার স্টেশন থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট-সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
আরটিভি/এসএপি
ঢাকা সফরে আসছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সৌদি দূতাবাস আয়োজিত দেশটির ৯৪তম জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সৌদি যুবরাজের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিঃসন্দেহে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে। আমরা অধীর আগ্রহে যুবরাজের আসন্ন সফরের অপেক্ষায় রয়েছি।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের অংশীদারিত্ব বিকাশ লাভ করেছে। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় এবং টেকসই করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক পরিকল্পনা সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর প্রশংসা করেন মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বিনিময় করে এই উচ্চাভিলাষী রূপকল্পে অবদান রাখতে বাংলাদেশের আকাক্ষার কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশি আধা-দক্ষ ও অদক্ষ প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এসব শ্রমিক উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবিচল অংশীদার। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) বহু বছর ধরে আমাদের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সৌদি বিনিয়োগকারীদের রসদ, অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মতো খাতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
উপদেষ্টা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ উদ্যোগের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের লজিস্টিক্যাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
তিনি সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে বের করার আমন্ত্রণ জানান। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পর্যটন ও সেবা খাতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার প্রস্তাব দেন।
তৌহিদ আরও উল্লেখ করেন, উভয় দেশই বিশেষ করে শ্রম অভিবাসন, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আগামীর দিকে তাকিয়ে আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে যৌথ কমিশনকে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি। এই পদক্ষেপটি নতুন সুযোগ উদঘাটন করবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন দেবে।
বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। -বাসস।
আরটিভি/এসএপি/এআর
রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
হাসনাত আব্দুল্লাহ পোস্টে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান দলের অনেক নেতা। কেউবা চলে যান আত্মগোপনে। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আরটিভি/এআর/এসএ
আমরা রক্ত দিচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে টাকা ভাগ করছে: হাসনাত
জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রকাশিত সংবাদকে ‘ফেক’ বলেই দাবি করেছেন তিনি। এবার বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, এই যে একটা স্লোগান, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত। রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়। তো, রক্ত আমরা কাদের জন্য দেব? এখন আমরা রক্ত কাদের জন্য দেব? আমি যখন দেখলাম আমরা রক্ত দিচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে ভাগ করছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে যাচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে টাকা ভাগ করছে। দ্য মেথড অব পেমেন্ট–৫ কোটি না ১০ কোটি। একজন বলছে, ‘আমি ভাই নির্লোভ মানুষ। আমার এত লোভ নাই। ৫ কোটি হলেই চলবে।’ অন্যজন বলছে ‘১০ কোটি।’ প্রথমজন বলছে, ‘তোমার যা মনে হয়’।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আর এই বার্ধক্যের নেতৃত্ব সচিবালয়ে বসে আমাদের রক্ত মাড়িয়ে টাকা ভাগ করে। স্কাউন্ড্রেল...। এই বার্ধক্যের নেতৃত্বের জন্য আমরা (ছাত্র-নাগরিক) রক্ত দিতে প্রস্তুত না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আপনারা যারা সচিবালয়ে বসে নীতিনির্ধারণ করছেন, আপনারা সচেতন হন। কারণ, ছাত্র-নাগরিক ৫ তারিখ যেভাবে হাসিনাকে তার মসনদ থেকে নামিয়েছে, আপনাদের সচিবালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ মিনিটের ডিসটেন্স। আপনারা সচিবালয়ে বসে ৫ কোটি না ১০ কোটি ভাগ করবেন, আর আমরা বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটা কিনতে পারব না, এটা হবে না।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তদন্তের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/আইএম/এসএ
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এ ঘটনায় তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে সরকার।
রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখনও নির্দেশনা হাতে আসেনি। রোববার সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে শনিবার তাপসী তাবাসসুম উর্মি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মি গণমাধ্যমকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।
এদিকে তাপসী তাবাসসুম উর্মির ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. এ কে এম এনামুল হক বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয়। সেখানে সরকারের এমন সমালোচনা করা যাবে না যেখানে জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে ইফেক্ট করতে পারে, এটা ২৩ এর এ তে আছে।
আরটিভি/আইএম