গণপরিবহনে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য
সরকারি নিদের্শনা উপেক্ষা করে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জোর দাবি জানিয়েছে।
গত ১৫ ও ১৬ জুলাই গণপরিবহনে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যাতায়াত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ পরিবহনে আসন ভর্তি করে যাত্রী বোঝাইয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। সরকার গণপরিবহনের ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিলেও কোন কোন গণপরিবহনে ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে, রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে মিরপুর-১০ থেকে নীলক্ষেত সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া ১৫ টাকা। করোনা সংকটে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়ায় এই পথে ২৬ টাকা ভাড়া আদায় করা হতো। গত দুই দিন এই পথে ৪০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। একই পথে সিএনজি অটোরিকশায় স্বাভাবিক সময়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হলেও গত দুই দিন যাবৎ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে।
এদিকে দূরপাল্লার রুট পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ঢাকা আশুলিয়া বাইপাইল মোড় থেকে রংপুর নিয়মিত পথে ৬০০ টাকার বাস ভাড়া গত দুই দিন যাবৎ ২১০০ টাকা হারে আদায় করতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম থেকে রংপুর ৮৫০ টাকার বাস ভাড়া ২২০০ টাকা আদায় হয়েছে।
অন্যদিকে নৌ-পথের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ ও স্টিমারের পাশাপাশি খেয়াঘাটগুলোতে গত দুই দিন যাবৎ যাত্রী পারাপারে ভাড়া ডাকাতির মহোৎসব শুরু হয়েছে। যাত্রী প্রতি দুই টাকা ভাড়া আদায়ের স্থলে কোন কোন খেয়াঘাটে ১০ টাকা, কোথাও ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী করোনা সংকটে পতিত দেশের সাধারণ মানুষের ওপর গণপরিবহনগুলোর এহেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের জুলুম থেকে মুক্তি দিতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এফএ
মন্তব্য করুন