করোনা এখন শুধু স্বাস্থ্যসমস্যা নয়, পূর্ণাঙ্গ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট: প্রধানমন্ত্রী
করোনা ভাইরাস এখন আর কেবল স্বাস্থ্য সমস্যা নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই বিপর্যয় এখন বিশ্বায়ন ও যোগাযোগের মূল ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে, যা আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অনেক যত্নে গড়ে তুলেছিলাম। এটি বাংলাদেশের মতো দেশগুলো, বিশেষ করে শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনিভা থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত ভার্চুয়াল বৈশ্বিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে আমাদের দেশীয় ও বৈদেশিক সরবরাহ চেইনগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কয়েক বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ হারিয়েছি, আমাদের অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে এবং লক্ষ লক্ষ শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্রশিল্প তাদের বেশিরভাগ সম্পদ ও বাজার হারিয়েছে এবং সর্বোপরি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কৃষি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এর উপর আমরা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি।
বক্তব্যে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন খাতে সরকারের প্রণোদনা প্রদান এবং দুর্গতদের সহায়তায় নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়াসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এসডিজি অর্জনে রেমিটেন্স একটি মূল উপাদান হওয়ায় এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বর্তমানে এই চাকরিবিহীন শ্রমিকদের প্রত্যাবাসন এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, আমরা ২০ শতাংশের বেশি রেমিটেন্স আয় হারাব।
অভিবাসীদের ওপর কোভিড-১৯ মহামারীর ক্ষতিকর প্রভাব সামলে নিতে সব দেশের অংশগ্রহণে একটি ‘বলিষ্ঠ বৈশ্বিক পদক্ষেপের’ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসজে
মন্তব্য করুন