ভার্চুয়াল বৈঠকে সাবেক কূটনীতিকদের পরামর্শ নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্ব আতঙ্ক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা, করোনা পরবর্তী পরিস্থিত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাবেক কূটনীতিকদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনে।
শুক্রবার (৩ জুলাই) বিশেষ এক বার্তায় বলা হয়, বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য করণীয় নির্ধারণে গত ২ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচকরা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারির সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ভার্চুয়াল সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন এম আর ওসমানী, ফারুক সোবহান, সি এম শফি সামি, শমসের মবিন চৌধুরী, এ কে এম আতিকুর রহমান, মো. শহিদুল হক, মো. আব্দুল হান্নান, হুমায়ুন কবির, আহমদ তারিক করিম ও মহসীন আলী খান।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার প্রশংসা করেন তারা। বাংলাদেশের সাথে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগকে স্বাগত জানান বক্তারা।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী নিজেই পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন: পাটমন্ত্রী
---------------------------------------------------------------------
এছাড়া বক্তারা করোনার টিকা আবিস্কৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যেন উন্নত বিশ্বের মতো একইভাবে উপকৃত হতে পারে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত করোনার তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক কূটর্নীতিকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনৈতিকদের সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এই ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভা আয়োজন করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জিএ
মন্তব্য করুন