দেশে রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যু, শনাক্ত ও সুস্থতা
মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের মিছিলে যেন থামছে না। দেশে করোনাভাইরাসে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৮৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৬৫৭ জন। একদিনে আরও ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে, মোট মৃত্যু ২২৮। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ৪ জন নারী। গেল ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৬, মোট সুস্থ ২৬৫০ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত নারীদের বয়সের অনুপাত ৩০ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ২ জন। মৃত পুরুষদের বয়সের অনুপাত ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের ৩ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন।
সার্বিক হিসাব বিবেচনায় সুস্থতার হার ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
রোববার (১০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত কয়েক দিনের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হিসেব করলে দেখা যায়,
৯ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ১১২ জন, মারা যান ১ জন।
১০ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৯৪ জন, মারা যান ৬ জন।
১১ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৫৮ জনের দেহে, মারা যান ৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
১২ এপ্রিল ১৩৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়, মারা যান ৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
১৩ এপ্রিল আক্রান্ত হন ১৮২, মারা যান ৫। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
১৪ এপ্রিল আক্রান্ত হন ২০৯ জন, মারা যান ৭ জন। কেউ সুস্থ হননি।
১৫ এপ্রিল এই সংখ্যা ঠেকে ২১৯ জনে, মারা যান ৪জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ জন।
১৬ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩৪১ জন, মারা যান ১০ জন।
১৭ এপ্রিল আক্রান্ত হন ২৬৬ জন, মারা যান আরও ১৫ জন।
১৮ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩০৬ জন, আর ৯ জন মারা যান। সুস্থ হয়েছেন ৮ জন।
১৯ এপ্রিল ৭ জন মারা যান, আক্রান্ত হয় ৩১২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ জন।
২০ এপ্রিল ১০ জন মারা যান, আক্রান্ত হন ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ জন।
২১ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৪৩৪ জন, মারা যান ৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ জন।
২২ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৩৯০ জনের দেহে। মারা যান ১০ জন, সুস্থ হন ৫ জন।
২৩ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৪১৪ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ১৬ জন।
২৪ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৫০৩ জন, মারা যান ৪ জন, সুস্থ হন ৪ জন।
২৫ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩০৯ জন, মারা যান ৯ জন, সুস্থ হননি কেউই।
২৬ এপ্রিল আক্রান্ত হন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ১০ জন।
২৭ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৪৯৭ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ৯ জন।
২৮ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৫৪৯ জন, মৃত্যু হয় ৩ জনের, সুস্থ হন ৮ জন।
২৯ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৬৪১ জন, মারা যান ৮ জন, সুস্থ হন ১১ জন।
৩০ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৫৬৪ জন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ১০ জন।
১ মে আক্রান্ত হন ৫৭১ জন, মারা যান ২ জন, সুস্থ হন ১৪ জন।
২ মে আক্রান্ত হন ৫৫২ জন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ৩ জন।
৩ মে আক্রান্ত হন ৬৬৫ জন, মারা যান ২ জন, নতুন গাইডলাইনে সুস্থতা দেখায় ১০৬৩ জন।
৪ মে আক্রান্ত হন ৬৮৮ জন মে, মারা যান ৫ জন, নতুন গাইডলাইনে মোট সুস্থতা দেখায় ১,২০৯ জন।
৫ মে আক্রান্ত হন ৭৮৬ জন, মারা যান ১ জন, নতুন গাইডলাইনে মোট সুস্থতা দেখায় ১ হাজার ৪০৩ জন।
৬ মে আক্রান্ত হন ৭৯০ জন, ৩ জন মারা যান, সুস্থ হন ৩৭৭ জন। নতুন গাইডলাইনে অনুযায়ী মোট সুস্থ ১ হাজার ৭৮০ জন।
৭ মে আক্রান্ত হন ৭০৬ জন, সুস্থ হন ১৩০ জন, নতুন গাইডলাইনে অনুযায়ী মোট সুস্থ ১ হাজার ৯১০ জন।
৮ মে আক্রান্ত হন ৭০৯ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ১৯১ জন, মোট সুস্থ হন ২ হাজার ১০১ জন।
৯ মে আক্রান্ত হন ৬৩৬ জন। মারা যান ৮ জন, সুস্থ হন ৩১৩ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪১৪ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
জিএ
মন্তব্য করুন