ভাষা কমিটির প্রতিবেদন
বাংলাকে আরবি অক্ষরে লেখার সুপারিশ
১৯৫০ সালে পূর্ব বাংলা সরকারের নির্দেশে ভাষা সমস্যা সমাধানে মাওলানা আকরাম খানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলে সরকার। সেসময় ওই কমিটি প্রতিবেদনও তৈরি করে। এতে বাংলাকে আরবি অক্ষরে লেখার সুপারিশ করা হয়।
৫২’র ভাষা আন্দোলন আরো গতি পায় ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের ভাষণে। তিনি ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন এবং ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে জনসভায় দীর্ঘ ভাষণ দেন। বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। যেকোনো জাতি দু’টি রাষ্ট্রভাষা নিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারেনি।
ওই বক্তৃতার প্রতিবাদে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২৯ জানুয়ারি প্রতিবাদ সভা এবং ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট পালন করে। ছাত্র নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সমবেত হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সভা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি প্রদেশব্যাপী হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে।
৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত সভায় মওলানা ভাসানির নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মী পরিষদ গঠিত হয়। সভায় আরবি অক্ষরে বাংলা লেখার সরকারি প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয় এবং ৩০ জানুয়ারির সভায় গৃহীত ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন দেয়া হয়। পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল, সমাবেশ ও মিছিলের কর্মপরিকল্পনা নেয়।
এসজে/ডিএইচ
মন্তব্য করুন