নান্দাইলের পল্টন হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ওষুধের দোকানি মাজহারুল ইসলাম ওরফে পল্টন হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিদের সাতজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডের ১০ আসামির মধ্যে একলাছ উদ্দিন, আবুল কাশেম, কবির মিয়া, আবুল কাশেম ওরফে আবু, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী ও বাদল মিয়া রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন। আর ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার পলাতক।
খালাস পাওয়া সাত আসামির মধ্যে আফতাব উদ্দিন ওরফে আক্রাম আলী, বদরুল আলম ওরফে বদরুল, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, আবু সিদ্দিক ও দুলাল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত থাকলেও রফিক মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিবুর রহমান মাহবুব। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
গেল পাঁচ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন। ওই দিন ১৪ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ১ মার্চ সকালের মধ্যে কোনও এক সময় পল্টনকে তার ওষুধের দোকানের ভেতরে মাথা ও কপালে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পল্টনের বোন বিউটি আক্তার ১ মার্চ নান্দাইল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার ওসি জসিম উদ্দিন।
এসএস
মন্তব্য করুন