অভিযোগের পাহাড়, তবু জনশক্তি রপ্তানির বাজার নিয়ন্ত্রণ ‘দালালদের’ হাতে! (ভিডিও)
জনশক্তি রপ্তানির নামে কিছু এজেন্সির প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এসব এজেন্সির বেশিরভাগেরই নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই। কেউ কেউ অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে চলছেন। অভিযোগ আছে দালালদের মাধ্যমে লোক যোগাড় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছেন অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা।
চার লাখ টাকায় ব্রুনাইয়ের ভিসা কিনেছিলেন আবদুর রশিদ। যখন বুঝতে পারলেন ভিসা জাল, তখন আর কিছু করার নেই। দালালের মাধ্যমে ভিসা নেয়ায় এজেন্সির নাম-ঠিকানাও জানা নেই।
ময়মনসিংহের ১২ জনের কাছে রাশিয়া ও ব্রুনাইয়ের ভিসা বিক্রি করেছে ‘জন ডর ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল’ নামে এক এজেন্সি। নির্দিষ্ট ঠিকানায় খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল নাম ঠিক থাকলেও, প্রতিষ্ঠান ভিন্ন।
এছাড়া ফরিদপুরের লাবলু মিয়ার মেয়েকে জর্ডান পাঠানো দালালের ফোন নম্বরে বারবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা গেল না। আর শরিয়তপুরের রবিউলের কাছে থেকে টাকা নেয়ার কথাতো অস্বীকারই করলেন এক দালাল।
এই হলো, জনশক্তি রপ্তানিতে মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের অবস্থা। তারপরও বছরের পর বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই।
এসব দালালদের কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি বেড়ে যাচ্ছে খরচও। জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও এদের ওপর নির্ভর করায় প্রতারণা ঠেকানো যাচ্ছে না।
এ ধরণের প্রতারণা বন্ধে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে আরও জবাবদিহিতার মধ্যে আনার কথা জানালেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বললেন, জনশক্তি রপ্তানিতে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
এসএস
মন্তব্য করুন