• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

জব্দ করা ইয়াবা ভাগ-বাটোয়ারা: ৫ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৫১
৫ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
জব্দ করা ইয়াবা ভাগ-বাটোয়ারা: ৫ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

ইয়াবা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়া ও বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর চার সদস্য এবং গুলশান থানার এক এএসআইর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- গুলশান থানার এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী (৪৪), এপিবিএনের কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল (২৩), নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭), কনস্টেবল মো. রনি মোল্লা (২১) ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলাম (২৩)।

এএসআই মাসুদ আহমেদ মিয়াজী, প্রশান্ত মণ্ডল (২৩) ও জাহাঙ্গীর আলমকে তিন দিন করে এবং রনি মোল্লা ও কনস্টেবল মো. শরিফুল ইসলামকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক পরিতোষ চন্দ্র আদালতে আসামিদের হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রোববার রাতেই পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এর এসআই আবু জাফর।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উত্তরার এপিবিএন-১ সদর দপ্তরের ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার বাথরুমের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ইয়াবার ভাগ-বাটোয়ারা করছেন। সেসময় তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় এপিবিএন। ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি নিয়ে একটি ফোর্স যায় সেই বাথরুমে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এপিবিএন-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু জাফর।

অভিযানে বাথরুমের সামনে গিয়ে কনস্টেবল প্রশান্ত মণ্ডল, কনস্টেবল রনি মোল্লা ও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে দেখতে পায় তারা। এরপর তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়। পরে প্রশান্ত মণ্ডলের ফুল প্যান্টের ডান পকেট থেকে ১৫৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালানো হয় মণ্ডলের ব্যারাকের রুমে। সেখানে তার কাপড়ের ট্রাঙ্ক থেকে আরও ৩৯৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শরিফুলের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির ১৫ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শরীফুলকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানান, তিনি রনি মোল্লার কাছ থেকে ১৮ হাজার পাঁচশ টাকায় ১৫০ পিস ইয়াবা কিনেছেন। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় রনিকে।

সর্বশেষ প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় গুলশানের গুদারাঘাট চেকপোস্টে একটি মোটরসাইকেল তল্লাশি করে আরোহীর কাছ থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার কাছে থাকা ২০০ পিস ইয়াবা গুলশানের এএসআই মাসুদ মিয়াজী তার হেফাজতে রাখেন। বাকি ১৫০ পিস নেন জাহাঙ্গীর আলম।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শ্রীপুরে পিস্তল ও ইয়াবাসহ যুবক গ্রেপ্তার 
গাঁজাগাছ-ইয়াবাসহ আটক ২
পাথরঘাটায় ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
৪৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৯ মাদককারবারি গ্রেপ্তার
X
Fresh