রোহিঙ্গাদের উপস্থিতিতে চাপ বাড়ছে স্থানীয় অর্থনীতির ওপর
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বারবার ভেস্তে যাওয়ায় জটিল হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যা। নষ্ট হচ্ছে কক্সবাজার, টেকনাফের প্রকৃতিক পরিবেশ। চাপ বাড়ছে স্থানীয় অর্থনীতির ওপর। ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে গত দুই বছর কেবল কথার কূটকৌশল ছাড়া তেমন কোনো সফলতা দেখছেন না আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে দুই বছর আগে নিজ দেশ মিয়ানমার ছেড়ে এদেশে আশ্রয়ের জন্য আসে রোহিঙ্গারা। মানবিক দিক বিবেচনায় এক সময় সীমান্ত খুলে দেয়া হলে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।
সেই আশ্রয়ই এখন কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। সাময়িক আশ্রয় এখন স্থায়ী আবাসে পরিণত হওয়ার দশা হয়েছে।
স্থানীয়দের ওপর চাপ কমাতে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে সরকারি উদ্যোগটি এখনও আলোর মুখে দেখেনি।
এরই মধ্যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক আলোচনা-চুক্তি, জাতিসংঘে প্রস্তাব গ্রহণ কোনো কিছুই বাদ যায়নি।
কিন্তু মিয়ানমারের চতুরতায় কোনো কিছুই কাজে আসছে না। সবশেষ গেল বৃহস্পতিবার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগও বিফলে গেল।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের দৌরাত্মে কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়াবাসী এখন উল্টো চাপে আছে। রোহিংঙ্গা শিবিরে হানাহানিও বাড়ছে।
দ্বিতীয় দফা উদ্যোগেও একজনেরও না যাওয়া এবং নাগরিকত্বসহ চার দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের অনড় থাকার বিষয়টিকে এখন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক চাপ কমাতে মিয়ানমার লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রশ্নে চুপ থাকছে। এভাবে কূটকৌশলে বিশ্বকে ধোঁকা দিচ্ছে।
তবে পরিস্থিতি যাই হোক হতাশ না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। পরের উদ্যোগটি আর একা নয়। নিতে হবে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলোকে পাশে নিয়ে। তবে সেজন্য দক্ষ কূটনীতির বিকল্প দেখছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
এমকে
মন্তব্য করুন